বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ৯ কিলোমিটার বাইপাস সড়কে কেন বারবার ঘটছে দুর্ঘটনা

কীর্তনখোলা নদীর উপর নির্মিত দপদপিয়া সেতুর সংযোগ সড়কটি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে থেকে চলে গেছে। সেতু থেকে আসা যানবাহনগুলোর গতি ঢালের সড়কটিতে বেশি থাকে। এই অংশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা পারাপার হন। কর্নকাঠি, বরিশাল সদর, ৬ নভেম্বরছবি: সাইয়ান

বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ৯ কিলোমিটার বাইপাস সড়কটি যেন মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই এই অংশে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।

সম্প্রতি তিন দিনে ছয়টি দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গত ৩০ অক্টোবর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মাইশা ফৌজিয়া রাস্তা পার হতে গিয়ে বাসচাপায় নিহত হওয়ার ঘটনা বেশ আলোচিত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে সহপাঠীরা তিন দফায় ২৫ ঘণ্টা মহাসড়কটি অবরোধ করে রাখেন।

মহাসড়কটি দক্ষিণের পর্যটন শহর কুয়াকাটা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা জেলার সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। কীর্তনখোলা নদীর সেতু পার হয়ে মূল মহাসড়কের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে এই ৯ কিলোমিটার প্রশস্ত ও মসৃণ বাইপাস সড়ক। এই অংশে দিনরাত চলাচল করে কয়েক হাজার ছোট-বড় যানবাহন। বারবার দুর্ঘটনার পেছনে মহাসড়কটিতে যানবাহনের বেপরোয়া গতিসহ বেশ কিছু কারণের কথা বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। মৃত্যুর মিছিল থামাতে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ তাঁদের।

প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, প্রাণহানি

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মাইশা ফৌজিয়ার মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতে ২ নভেম্বর একই স্থানে আরেকটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আহত কিশোর ৩ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে ভোলা-বরিশাল মহাসড়কে অগ্রযাত্রা স্কুলের সামনে পৃথক আরেকটি দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন তিনজন। ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন খয়রাবাদ সেতুর ঢালে বাসচাপায় নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী ইউনুস বিশ্বাস। তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং বাউফল উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ছিলেন।

এর আগে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বাস ও একটি জিপের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন পাঁচজন। গত ২৬ জুন খয়রাবাদ সেতুর ঢালে বরিশাল থেকে পটুয়াখালীগামী একটি বাসের সঙ্গে বিপরীতমুখী একটি মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের চালকসহ চার যাত্রী গুরুতর আহত হন।

২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর বাস ও মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। ২০২৩ সালের ২৩ জুন দপদপিয়া জিরো পয়েন্ট এলাকায় যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে একটির চালকসহ আহত হন ২৫ জন। এর আগে ২০২১ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কীর্তনখোলা সেতুর ঢালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাস অপর একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দিলে তিন স্কুলছাত্র নিহত হয়।

বরিশাল হাইওয়ে পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, মহাসড়কটিতে মাসে ৭ থেকে ১০টি দুর্ঘটনা ঘটে।

বাইপাসে কেন এত দুর্ঘটনা

সড়ক নিরাপত্তায় কাজ করা বিভিন্ন ব্যক্তি, যানবাহনের চালক, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের প্রকৌশলী, ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বারবার দুর্ঘটনার বিষয়ে কথা হয়। তাঁরা বেশ কিছু কারণ তুলে ধরেন। সঙ্গে এর সমাধানের জন্য মতামতও দিয়েছেন।

তাঁরা বলেন, বরিশাল-কুয়াকাটা ও বরিশাল-বরগুনা—এই আঞ্চলিক মহাসড়ক দুটি যথাক্রমে ২৪ ও ১৮ ফুট প্রশস্ত। পদ্মা সেতু চালুর পর এই দুই সড়কে যানবাহনের পরিমাণ আগের তুলনায় অন্তত ১০ গুণ বেড়েছে। বিভাগীয় শহর বরিশাল, ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানের দূরপাল্লার যানবাহনগুলো সরু মহাসড়ক পার হয়ে যখন জিরো পয়েন্টের পর চার লেনের বাইপাস সড়কে ওঠে, তখন চালকেরা এই ৯ কিলোমিটার সড়কে ‘হাতখোলা’ গতিতে যানবাহন চালান। একই সঙ্গে এই অংশে কীর্তনখোলা ও খয়রাবাদ—দুটি সেতু থাকায় এই দুই সেতুতে ওঠার সময় বিপরীত দিকের যানবাহন দেখা যায় না। আর ঢালু থেকে নামার সময় যানবাহনের গতি থাকে আরও বেশি। এ কারণে এই অংশে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।

অন্যদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকটি এই মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। এতে শিক্ষার্থীদের যানবাহনে উঠতে হলে কিংবা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে হলে অহরহ রাস্তা পার হতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের অংশে মহাসড়ক থেকে আরেকটি সড়ক উত্তরে ভোলার দিকে চলে গেছে। এলাকাটি হিরণ পয়েন্ট নামে পরিচিত। এই মোড়ে একটি বাজার গড়ে উঠেছে। ফলে এই বাজারকে কেন্দ্র করে এখানে সব সময়ই বড় জটলা থাকে। ফলে এই এলাকায়ও প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন যানবাহন ও পথচারীরা। ৩০ অক্টোবর রাতে এই এলাকায় রাস্তা পার হতে গিয়েই শিক্ষার্থী মাইশা ফৌজিয়া বাসের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে মহাসড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার। কর্নকাঠি, বরিশাল সদর, ৬ নভেম্বর
ছবি: প্রথম আলো

বরিশাল শহর থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত দূরত্ব ১১৭ কিলোমিটার। সরেজমিন দেখা যায়, বরিশাল থেকে কীর্তনখোলা ও খয়রাবাদ নদের ওপর দুটি সেতু পার হয়ে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকার জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত এই দুই সেতুকে কেন্দ্র করে ৯ কিলোমিটার বাইপাস সড়ক রয়েছে। এই ৯ কিলোমিটার চার লেনের বাইপাস সড়ক ৪৮ ফুট প্রশস্ত। তবে এরপর মহাসড়কটি কুয়াকাটা পর্যন্ত যেতে ১০৮ কিলোমিটার অংশ ২৪ ফুট প্রশস্ত। অন্যদিকে বরগুনা থেকে বাকেরগঞ্জ হয়ে বরিশাল জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কটির দূরত্ব ৭৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে বরগুনা থেকে বাকেরগঞ্জ পর্যন্ত ৫৭ কিলোমিটার সড়ক ১৮ ফুট প্রশস্ত। ফলে যানবাহনগুলো সরু সড়ক থেকে প্রশস্ত সড়কে ওঠার পর ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে আসা-যাওয়া করছে।

বরিশাল-বরগুনা রুটের বাসচালক আবদুস সালাম বলেন, এই অংশে দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। সড়কটি চার লেন হওয়ায় যানগুলোর অধিকাংশেরই বেপরোয়া গতি থাকে। বিশেষত, দূরপাল্লার পরিবহনগুলোর চালকদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এ ছাড়া আন্তজেলা বাসগুলোর গন্তব্যে যেতে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু চালকেরা পথিমধ্যে বেশি যাত্রী পাওয়ার আশায় সময়ক্ষেপণ করেন। পরে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে বেপরোয়া গতিতে বাস চালানোয় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এ ছাড়া এই অংশে চৌরাস্তা মোড়ে কোনো গতিরোধক নেই। আবার সেতুতে ওঠার সময় বিপরীত দিক থেকে কোনো যানবাহন আসছে কি না, তা দেখা যায় না। এটাও দুর্ঘটনার কারণ। এ ক্ষেত্রে চালকদের দায়িত্বশীল ও আইন মেনে চলার জন্য সচেতন করার কাজ করা যেতে পারে। পাশাপাশি এই সড়কে ট্রাফিক বা হাইওয়ে পুলিশের কোনো নজরদারি না থাকায় যান চলাচলে বিশৃঙ্খলা আছে। তেমনি তিন চাকার যান ও মোটরসাইকেলও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।

মহাসড়ক প্রশস্ত করার কাজ আটকে আছে

বরিশাল সওজ সূত্র বলছে, ঢাকা প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার সুপ্রশস্ত এক্সপ্রেসওয়ের পর ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত প্রায় ২০৫ কিলোমিটার মহাসড়ক ২৪ ফুট রয়ে গেছে। এতে এই মহাসড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।

সওজ সূত্র বলছে, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা হয়। ২০১৮ সালে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণে ১ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২১ সালের জুনের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণের কাজটি শেষ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত বরিশাল সড়ক বিভাগে ৩৩ কিলোমিটার ও মাদারীপুর অংশে মাত্র ৭ কিলোমিটার অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এরই মধ্যে ভূমির দাম বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। তাই কবে নাগাদ ছয় লেন হবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

বরিশাল নথুল্লাবাদ বাসমালিক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আলী বলেন, ছয় লেনের রাস্তাটি দ্রুত নির্মিত না হওয়ায় দুর্ঘটনা বাড়ছে।

বরিশাল সওজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান বলেন, এরই মধ্যে অনেক অংশের জমিই অধিগ্রহণ করা হয়েছে। দ্রুত বাকি অধিগ্রহণ শেষ হলে কাজ শুরু হবে ছয় লেনের।

আরও পড়ুন

আশু সমাধানে বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন

এই পথে চলাচলকারী এ অঞ্চলের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একজন সহকারী প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, বাইপাস সড়কটি যথাযথ কারিগরি পরিকল্পনা অনুসরণ করে নির্মিত হয়নি, এমন অভিযোগ সত্য নয়। তা ছাড়া সড়কের এই অংশে কোনো বাঁক (টার্নিং পয়েন্ট) নেই। আর সেতুর ঢালে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের কাজটি করবেন যানবাহনের চালক। সেখানে কত গতি থাকবে, সেটা একজন চালকের জানা থাকে। কিন্তু তাঁরা এগুলো অনুসরণ করেন না বলেই এ বিপত্তি। এ ক্ষেত্রে হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশের নজরদারি বাড়ানো দরকার। এই ৯ কিলোমিটারে গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১ কিলোমিটার পরপর এবং সেতুর ঢালে রাম্বল স্ট্রিপ (ছোট ছোট খাঁজের গতিরোধক) স্থাপন করা যেতে পারে। একই সঙ্গে পথচারী পারাপারের জন্য জেব্রা ক্রসিং, সড়ক নিরাপত্তা সংকেত (রোড সেফটি সাইন) স্থাপন করা যেতে পারে।

ওই প্রকৌশলীর মতে, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দুর্ঘটনা রোধের জন্য সবচেয়ে বড় যে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে, সেটি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকটি দক্ষিণ দিকে বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের পাশে না রেখে পূর্ব দিকে ভোলা সড়কের পাশে স্থানান্তর। এটা না করলে এই এলাকায় দুর্ঘটনা রোধ করা দুঃসাধ্য।

আরও পড়ুন

বরিশাল নগর ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক বিদ্যুৎ চন্দ্র দে এমন প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে প্রথম আলোকে বলেন, এটাই হচ্ছে কার্যকর ও টেকসই সমাধান। আর এই অংশে দুর্ঘটনা কমানোর জন্য পথচারীদের রাস্তা পারাপারে সচেতনতার পাশাপাশি চালকদের গতিসীমা সম্পর্কে সচেতন করার বিকল্প নেই। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি পদচারী-সেতু নির্মাণ জরুরি।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মাইশার মৃত্যুর পর ওই এলাকায় সড়ক নিরাপত্তায় কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণের বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানান সওজের বরিশাল জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজও শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের মূল ফটকটি স্থানান্তরের বিষয়টি দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে। বিষয়টি আমরা প্রস্তাব আকারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দেব।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাহাত হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সড়কটি দুর্ঘটনাপ্রবণ হওয়ায় আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এ জন্য সওজের সহযোগিতায় আমরা পর্যাপ্ত আলো, রোড সেফটির জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছি। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ ও ২ নম্বর ফটক বন্ধ করে পূর্ব দিকে ভোলা সড়কে স্থানান্তরের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে।’

আরও পড়ুন