জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ, ৩০টি বাস আটক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলচলকারী রাজধানী পরিবহনের ৩০টি বাস আটক করা হয়েছে। ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের। তাঁর সহপাঠীরা বাস আটক করেন।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে আরিচাগামী রাজধানী পরিবহনের বাসগুলো আটকাতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ, বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটক থেকে তিনি রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে উঠেন। যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-ব-১২৩০৪৪। বাসটিতে উঠার পরপরই বাসটির সহকারী তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করেন। এরপর ভাড়া নিতে চাইলে ওই ছাত্রী প্রথমে হাফ ভাড়া পাঁচ টাকা দেন, কিন্তু বাসের সহকারী নিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তিনি ফুল ভাড়া ১০ টাকা দিলেও বাসের সহকারী কটু কথা শোনান। এরপর নবীনগর স্মৃতিসৌধ এলাকায় বাসটি অযাচিত থামিয়ে রাখেন। তখন তিনি বাসটি এভাবে যেখানে–সেখানে না থামানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু বাসের সহকারী তখনো খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ তাঁর। এই ঘটনা তিনি তাঁর ইনস্টিটিউটের বন্ধুবান্ধবদের জানালে তাঁরা রাজধানী পরিবহনের বাসগুলো আটকাতে শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, শিক্ষার্থীরা বাস আটকাতে শুরু করলে একটি বাস না থেমে চলে যেতে থাকে। তখন এক শিক্ষার্থী পায়ে আঘাত পান। তখন বাসটির চালককে ধরে বেধড়ক মারধর করেন শিক্ষার্থীরা।
রাত সাতটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একদল শিক্ষার্থী রাজধানী পরিবহনের বাসগুলো থামিয়ে সড়কের একপাশে নিয়ে বাসের চাবি কেড়ে নিচ্ছেন। বাসে থাকা যাত্রীদের তাঁরা নামিয়ে দিচ্ছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া এক যাত্রী আনিসুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি মিরপুর থেকে প্রতিদিন কালিয়াকৈর এলাকায় যাতায়াত করি। প্রায় দেখি এভাবে বাস আটক করেন শিক্ষার্থীরা। রাস্তার মধ্যে এভাবে বাস থেকে নামিয়ে দিলে আমাদের যে ভোগান্তিতে পড়তে হয়, সেটা কেউ দেখেন না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আবু সৈয়দ জিন্নাহ বলেন, ‘রাজধানী পরিবহনের ওই বাসটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রী জয় বাংলা ফটক থেকে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই বাসের সহকারী তাঁর সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। পরে তাঁর সহপাঠীরা গাড়িগুলো আটকানো শুরু করেন। আমরা বাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা আমাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য আসতেছে। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’