মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ফেনী ১৭টি গ্রাম প্লাবিত, ফেনী-পরশুরাম সড়ক বন্ধ
ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় তিনটি জায়গায় মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কের ঘনিয়া মোড়া ও চিথলিয়া এলাকা প্রায় দুই ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
গত সোমবার শুরু হওয়া প্লাবনে এ দুই উপজেলার অন্তত ১৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি গ্রাম ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের ও ৪টি পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের। চিথলিয়া ইউনিয়নের দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক দিনের বৃষ্টি ও ভারতের পাহাড়ি ঢলের পানিতে মুহুরী নদীর পানিপ্রবাহ রোববার দুপুর থেকে বাড়তে থাকে। সোমবার নদীর পানি একপর্যায়ে বিপৎসীমার ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে উজানের পানির চাপে ফুলগাজীতে বেড়িবাঁধের উত্তর বরইয়া, উত্তর দৌলতপুর ও পরশুরামের অলকা গ্রাম এলাকায় বাঁধের তিনটি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়।
পাউবোর ফুলগাজী-পরশুরাম এলাকার দায়িত্বে নিয়োজিত উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, সোমবার মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ বুধবার বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। উজান থেকে পাহাড়ি পানি আসা বন্ধ হলে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।
পরশুরামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা শমসাদ বেগম বলেন, ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কের ঘনিয়া মোড়া ও চিথলিয়া অংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া চিথলিয়া এলাকায় একটি উচ্চবিদ্যালয় ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ এক দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ফেনী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক একরাম উদ্দিন বলেন, আমনের চারা ও বীজতলা এবং সবজির খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এখনো ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়নি।