চট্টগ্রাম সিটি মেয়র শাহাদাতের শপথ ৩ নভেম্বর
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে আগামী ৩ নভেম্বর শপথ নেবেন বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণের সময়সূচি ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে শপথ পাঠ করাবেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়রের শপথ পাঠ নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ আজ অফিস আদেশ প্রকাশ করেছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহবুবা আইরিন স্বাক্ষরিত এই অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ৩ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে আরেক অফিস আদেশে সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র শাহাদাত হোসেনকে সম্পত্তির বিবরণসংবলিত হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
শপথ গ্রহণের সময় নির্ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন আদালত। আদালত রায় ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। রায় ঘোষণার সাত দিন পরেই ৮ অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণার সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১৭ অক্টোবর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গত ১৯ আগস্ট মেয়রদের অপসারণের প্রজ্ঞাপনের সংশোধন করে একটি সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহবুবা আইরিন স্বাক্ষরিত সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে ৩ নম্বর ক্রমিক বিলুপ্ত করা হয়েছে। ৩ নম্বরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪–এর ১৩ (ক) প্রয়োগ করে বাংলাদেশের সিটি করপোরেশনের মেয়রদের নিজ নিজ পদ থেকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে। এখন ওই প্রজ্ঞাপনের ক্রমিক নম্বর ৩ বিলুপ্ত করে সংশোধন করা হলো।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান। ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ৯ জনকে বিবাদী করে মামলাটি করেছিলেন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। নির্বাচনে ভোট পড়ে মাত্র ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ। ভোটের দিন হামলা, গোলাগুলি, প্রাণহানি ও ক্ষমতাসীনদের শক্তি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটে। এতে ভোটের উৎসব অনেকটা ম্লান হয়ে যায়। ভোট শেষে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে কোনো ভোটই হয়নি।