গাইবান্ধায় আদালতে খেলনা পিস্তল দেখিয়ে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ যুবকের কাণ্ড
গাইবান্ধায় এক বিচারককে খেলনা পিস্তল উঁচিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগে আবদুল হালিম (৩২) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
আটক আবদুল হালিমের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার ধানঘরা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায়, আটক যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, প্রতিদিনের মতো গাইবান্ধা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে আদালতে বিচারকাজ চলছিল। দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ ওই যুবক বিচারকের সামনে দাঁড়িয়ে খেলনা পিস্তল উঁচিয়ে বলেন, ‘দেশ স্বাধীন করেছেন জিয়া। আপনার পেছনে বঙ্গবন্ধুর ছবি কেন? তাঁর ছবি নামিয়ে ফেলেন।’ তখন বিচারক ওই যুবককে পুলিশের কাছে সোপর্দের নির্দেশ দেন। পরে তাঁকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনে হয়েছে, ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। আদালতে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন। তাঁর ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পরিবার ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওই যুবককে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন।
সদর থানায় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবেও আটক যুবক অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন। তিনি আদালতে যেসব কথা বলেন, পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছেও একইভাবে কথা বলেন। এ ছাড়া দোকান থেকে ৫০ টাকা দিয়ে পিস্তলটি কিনেছেন বলেও জানান। খেলনা পিস্তলে গুলি না থাকার বিষয়ে তিনি পুলিশকে বলেন, এই পিস্তলে সত্যের গুলি বের হবে।
থানায় ছেলেকে দেখতে এসে মা হালিমা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ। তার দুটি সন্তান আছে। মানসিক অসুস্থতার কারণে দুই মাস আগে তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি চলে গেছে। আমরা তার চিকিৎসা করছি।’
এদিকে রাত আটটার দিকে ওসি মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। ৫৪ ধারায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলা না হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ওই যুবকের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, যাচাই করতে চিকিৎসার কাগজপত্র দেখা হচ্ছে। যাচাই-বাছাইয়ের পর তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।