শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বগুড়ায় আইএইচটির অধ্যক্ষকে বদলি
বগুড়া আইএইচটির শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ১৪ দিনের মাথায় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আমায়াত উল হাছিনকে বদলি করা হয়েছে। সোমবার স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ পারসোনাল-১ শাখা (উপসচিব) মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
ওই চিঠিতে আমায়াত উল হাছিনকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বাগেরহাট ম্যাটসের সিনিয়র লেকচারার হিসেবে যোগদান করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় অষ্টম কর্মদিবসের মধ্যে ‘স্ট্যাান্ড রিলিজ’ বলে গণ্য হবে। এ ছাড়া বগুড়া আইএইচটির সিনিয়র লেকচারার ওমর ফারুক মীরকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বগুড়া ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) ঘটনায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি সোমবার সরেজমিনের তদন্তে আসে। এরপর অধ্যক্ষকে বদলি করা হলো।
তদন্ত কমিটির প্রধান অধিদপ্তরের উপপরিচালক গওসুল আজিম চৌধুরী। সদস্য দুজন হলেন সহযোগী অধ্যাপক (স্বাস্থ্য শিক্ষা) হাবিবুর রহমান ও আইএইচটি বগুড়ার সিনিয়র লেকচারার আবদুল কাদের। তাঁরা সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ওই প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেন। তাঁরা ঘটনা সম্পর্কে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অন্তত ১১ জন শিক্ষার্থীর সাক্ষাৎকার নেন। পরে ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বক্তব্য শোনেন। সন্ধ্যার পর অভিযুক্ত সজল ঘোষ ক্যাম্পাসের ছাত্রাবাসের যে কক্ষ দখল করে ছিলেন, সেই কক্ষ পরিদর্শন করেন। পরে প্রতিনিধিদল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলে, যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করা হবে।
ক্লাস বর্জন করে অধ্যক্ষের অপসারণসহ ৩ দফা দাবিতে ১৪ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, অধ্যক্ষ আমায়াত উল হাসিনকে অপসারণ, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সজল ঘোষকে গ্রেপ্তার ও ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা। আন্দোলনের একপর্যায়ে ২ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সজল কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা করেন শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হাসান।