চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা ও সদরের একাংশ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা (ঈগল প্রতীক) ভোট বর্জনের হুমকি দিয়েছেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার সময় তিনি বলেন, নির্বাচনী এলাকার কোথাও ভোটের অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ পরিবেশ নেই। প্রশাসন পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে তিনি ভোট বর্জন করতে বাধ্য হবেন।
দিলীপ কুমারের ভাষ্য, বেলা ১১টার পর তিনি তাঁর স্ত্রী সবিতা আগরওয়ালাকে নিয়ে রাহেলা খাতুন গার্লস একাডেমি কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা তাঁর ওপর চড়াও হন। এ সময় তাঁকে গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়। এতে তিনি শঙ্কিত ও আতঙ্কিত। এ বিষয়ে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, বেলা ১১টার দিকে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে রাহেলা খাতুন গার্লস একাডেমি কেন্দ্রে ভোট দিতে যান। কেন্দ্রে ঢোকার মুখে নৌকার কর্মী-সমর্থকেরা তাঁকে ঘিরে ধরে স্লোগান দিতে থাকেন। কয়েকজন তাঁর ওপর চড়াও হন।
দিলীপ কুমার আগারওয়ালা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আমার বউকে নিয়ে সেন্টারে ভোট দিতে এসেছিলাম। এখানে নৌকার লোকজন অতর্কিতভাবে আমার ওপর আক্রমণ করেছে। পুলিশ বাহিনী সন্ত্রাসীদের ধরে ছেড়ে দিয়েছে। নিয়ম আছে, ভোটকেন্দ্রের ৫০০ গজের ভেতর কোনো মিছিল হবে না। অথচ এই কেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে সমানে করা হচ্ছে। পৌর মেয়রসহ অন্য নেতারা ভোট প্রভাবিত করতে কেন্দ্রের ভেতরে আছেন। প্রশাসন কমপ্লিটলি নিরপেক্ষ না।’
ঈগল প্রতীকের এই প্রার্থীর অভিযোগ, নির্বাচনী এলাকায় অন্তত ২৫টি কেন্দ্রে তাঁর পোলিং এজেন্টদের মেরে বের করে দেওয়া হয়েছে। তিয়র বিলা ও খাসকররার দুটি কেন্দ্রসহ অনেক কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করছেন। তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার অনুরোধ করেন। বেলা ১১টা পর্যন্ত সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ তাঁর চোখে পড়েনি।