নেত্রকোনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সাজ্জাদুল হাসানকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা
নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব সাজ্জাদুল হাসানকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার বিকেল চারটায় তাঁকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী।
নেত্রকোনা জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, এ আসনে উপনির্বাচনের সাজ্জাদুল হাসান ছাড়া আর কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৪ জুলাই সাজ্জাদুল হাসান মনোনয়নপত্র জমা দেন। ২৫ জুলাই যাচাই-বাছাই ও আজ সোমবার (৩১ জুলাই) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। তফসিল অনুযায়ী ২ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহণের কথা ছিল।
কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, আপিল ও প্রত্যাহারের পর কোনো পদে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করতে হয়। ফলে সংসদ সদস্য হিসেবে সাজ্জাদুল হাসান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১১ জুলাই নেত্রকোনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেবেকা মমিন মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে শূন্য আসনটিতে আগামী ২ সেপ্টেম্বর ভোটের দিন নির্ধারণ করে ১৬ জুলাই তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয় সাজ্জাদুল হাসানকে।
দলীয় কর্মীরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিবের (পিএস-১) দায়িত্ব নেওয়ার পরই সাজ্জাদুল হাসান নেত্রকোনায় আলোচনায় আসেন। সাজ্জাদুল হাসানের বাবা প্রয়াত চিকিৎসক আখলাকুল হোসাইন গণপরিষদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
সাজ্জাদুল হাসান মুঠোফোনে বলেন, তাঁর বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি মহেশখলা ক্যাম্পের ইনচার্জ ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ ভাটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত নর্থ সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাঁর বাবাকে অন্তরীণ করে রাখা হয়। তাঁর বাবা তখন মোহনগঞ্জের লোহিয়ার মাঠে প্রতিবাদ মিছিল করেছিলেন। তাঁকেও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে হেনস্তা করা হয়। তিনি আমলা হলেও এই মাটিরই সন্তান। গ্রামে থেকেই বেড়ে উঠেছেন। সুখে-দুঃখে সবার পাশে থাকতে চান। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি তাঁর বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করতে চান।