পাওনা টাকা আদায়ে এস আলমের বাসভবনের সামনে ব্যাংক কর্মকর্তাদের অবস্থান
দেশের আলোচিত-সমালোচিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলমের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের বাসভবনের সামনে বিনিয়োগের পাওনা টাকা আদায়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের সুগন্ধা আবাসিক এলাকায় এস আলম হাউসের সামনে অবস্থান নেন চট্টগ্রাম অঞ্চল ও নগরের ১১টি শাখার প্রায় এক শ কর্মকর্তা।
এতে বক্তব্য দেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মোস্তফা, আগ্রাবাদ শাখার ব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেইন চৌধুরী, জুবিলী রোড শাখার আনোয়ারুল আলম।
এ সময় বক্তারা বলেন, এস আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৪০-৪৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। বকেয়া এই টাকা আদায় না হওয়ায় তারল্য–সংকট দেখা দিয়েছে।
বক্তারা বলেন, ‘গ্রাহকেরা যখন জানতে পেরেছেন তাঁদের টাকা সুরক্ষিত নয়, তখন তাঁরা তখন একসঙ্গে এসে সঞ্চয় উঠিয়ে নেওয়ার জন্য চাইছেন। কিন্তু একসঙ্গে এত টাকা কোনো ব্যাংকের পক্ষে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি উদ্যোগ নিয়েছে, ফলে আমরা কিছু টাকা ফেরত দিতে পারছি। তবে বড় অঙ্কের বিনিয়োগের টাকা আদায়ে আমরা এখানে অবস্থান নিয়ে একটি বার্তা দিচ্ছি।’
এদিন বেলা ১১টা থেকে ব্যাংকটির প্রবর্তক মোড়, চকবাজার, কাজীর দেউড়ি (মহিলা শাখা), জুবিলী রোড, বহদ্দারহাট, আন্দরকিল্লা, কদমতলীসহ অন্যান্য শাখার কর্মকর্তারা এস আলমের বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। এর আগে এ মাসের শুরুতে নগরের আছদগঞ্জ এলাকায় এস আলমের করপোরেট অফিসের ভেতরে অবস্থান নিয়েছিলেন বিভিন্ন শাখার ব্যবস্থাপকেরা।
জানা গেছে, ২০০৪ সালে সিকদার গ্রুপ থেকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ যায় এস আলম গ্রুপের কাছে। এর পর থেকে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম নিজেই। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ব্যাংকটি এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়। সারা দেশে ব্যাংকটির বিনিয়োগ প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এস আলম ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে ব্যাংকটির বিনিয়োগ ৪০ থেকে ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান ও আগের পরিস্থিতি সবাই জানেন। ব্যাংকটির বিনিয়োগের অধিকাংশ এস আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে। এই বিনিয়োগের টাকা আদায়ে ব্যাংকের কর্মকর্তারা অবস্থান নিয়েছেন।