খুলনায় তিন দিনে ৫৫ নেতা–কর্মী গ্রেপ্তার, বন্ধের দাবি বিএনপির
খুলনায় গত তিন দিনে বিএনপির ৫৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতারা। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিশেষ অভিযানের নামে পুলিশ নগরের বিভিন্ন থানায় গায়েবি মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
আজ মঙ্গলবার রাত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতারা অবিলম্বে গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার বন্ধ ও গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার বন্ধ না করলে উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতির সব দায়দায়িত্ব সরকার ও পুলিশ প্রশাসনকে বহন করতে হবে।
বিবৃতি দেওয়া বিএনপি নেতারা হলেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী, খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মানিত সদস্য রকিবুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীম এজাজ খান, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এস এম মনিরুল হাসান।
বিবৃতিতে বলা হয়, নগরের বিভিন্ন থানায় গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে বিস্ফোরক আইনে, নাশকতার অভিযোগে। অথচ কোথাও কেউ ককটেলের আওয়াজ পাচ্ছে না, নাশকতার ঘটনা দেখতে পাচ্ছে না। খুলনায় বিশেষ অভিযানের নামে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি, বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি, গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে অর্থ–বাণিজ্য করা হচ্ছে। পরিবারের নারী ও শিশু সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। থানায় গ্রেপ্তার হওয়া নেতা–কর্মীদের যে খাবার দিতে যাচ্ছে, তাকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে; যা সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার হরণের শামিল।
হামলা, মামলা, গুলি, হত্যা, গ্রেপ্তার করে বিএনপিকে ভয় দেখানো যাবে না বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির এই নেতারা। বিবৃতিতে তাঁরা আরও বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র, মানুষের স্বাধীনতা, দেশের স্বাধীনতা, ন্যায়-সত্যের জন্য লড়াই করছি। লড়াই করতে গিয়ে অনেক নেতা–কর্মীকে হারিয়েছি। খুলনার ফুলতলার সাজ্জাদুজ্জামান জিকো, বাঞ্ছারামপুরের নয়ন মিয়া, নারায়ণগঞ্জের শাওন প্রধান, মুন্সীগঞ্জের শাওন, ভোলার নূরে আলম, আব্দুর রহিম খুন হয়েছেন অবৈধ সরকারের হাতে। গত দুই-তিন মাসের মধ্যে ১০ জনের জীবন কেড়ে নিয়েছে। তারপরও আমাদের ভয় দেখাতে পারেননি। আমরা ভয় পাইনি। চলমান আন্দোলনের মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাব, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনব। তারপরে আমরা ঘরে ফিরে যাব।’