ত্রিশালে নদে পড়ে যাওয়া সেতুটির বয়স হয়েছিল ৩৫ বছর
ময়মনসিংহের ত্রিশালের চেলেরঘাট এলাকায় খিরু নদে ভেঙে পড়া বেইলি সেতুটির বয়স হয়েছিল ৩৫ বছর। ১৯৮৮ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। তবে সেতুটি যান চলাচলের অনুপযোগী ছিল না বলে দাবি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের। অতিরিক্ত ভারবোঝাই গাড়িটি সেতুতে ওঠায় এটি ভেঙে পড়েছে বলে তারা বলছে।
সওজের ময়মনসিংহ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেন প্রথম আলোকে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ধারণক্ষমতার বেশি ওজনের যান চলাচলের কারণে সেতুটি ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ নেই।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যার আগে বেইলি সেতুটি ভেঙে নদে পড়ে। ওই সময় সেতুতে থাকা বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারবাহী ৪২ চাকার একটি লরি ও সাদা রঙের একটি ব্যক্তিগত গাড়ি সেতু থেকে নদে পড়ে যায়। ব্যক্তিগত গাড়িটি সেতুতেই আটকে ছিল। গাড়িতে থাকা যাত্রীরা আহত হয়েছেন। ট্রান্সফরমারবাহী লরিটি ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি ওজনের ছিল।
পুলিশ ও সওজ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৮ সালে চেলেরঘাট এলাকায় খিরু নদের ওপর বেইলি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হওয়ার সময় ওই এলাকায় আরেকটি সেতু হয়। নতুন সেতু হলেও ১৯৮৮ সালের নির্মিত বেইলি সেতুটি চার লেনের একটি লেন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সেতুটি সংস্কারও করা হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর মহাসড়কের এক পাশ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে অপর পাশে যানবাহনের চাপ আছে। ওই এলাকায় কিছুটা থেমে থেমে যানবাহন চলছে।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন বলেন, ওই এলাকায় যানবাহন চলাচলের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশ আছে। এ কারণে এক পাশ বন্ধ থাকলেও যানজটের সৃষ্টি হয়নি।
সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেন বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সওজের নকশাকারেরা এসে সেতুটি দেখে গেছেন। দ্রুত এটির সংস্কারকাজ শুরু হতে পারে।