সাতক্ষীরায় এক দিনে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল তিন কিশোরী
সাতক্ষীরার সদর ও তালা উপজেলায় মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে এক দিনে তিন ছাত্রী বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে এসব বিয়ে বন্ধ করা হয়।
বিয়ে বন্ধ করার পর তিন কিশোরীর বাবার কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করা হয়। এতে তাঁরা অঙ্গীকার করেন যে বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না।
সাতক্ষীরা জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সাকিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহের খবর পান। এরপর সাতক্ষীরা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম কর্মকর্তা আবদুল হাই সিদ্দিককে নিয়ে ওই বাড়িতে যান তিনি। ওই সময় বিয়ের আয়োজন চলছিল। তাঁরা কনের জন্মনিবন্ধন সনদে দেখেন, বয়স ১৭ বছর। তাঁদের আসার খবরে বরপক্ষও মাঝপথ থেকে ফিরে যায়। এরপর মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেবেন না এবং লেখাপড়া করাবেন বলে মুচলেকা দেন কনের বাবা।
এদিকে তালা উপজেলায় আজ দুটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। ওই উপজেলার মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, দুপুরে পর উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নে দুজন ছাত্রীর বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে অধিদপ্তরের কিশোর-কিশোরী ক্লাবের জেন্ডার প্রোমটার বিউটি আক্তার ও আবৃত্তি শিক্ষক আনিছা খাতুনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তাঁরা গিয়ে দেখেন, একই ইউনিয়নে একই গ্রামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী ও অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।
নাজমুন নাহার আরও বলেন, নবম শ্রেণির ছাত্রীর জন্মসনদে দেখা যায়, বয়স ১৫ বছর। পরে তাঁরা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর বাড়ি গিয়ে জন্মসনদে দেখেন, বয়স ১৪ বছর। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের লোকজনের আসার খবরে দুটি বিয়েরই বরপক্ষ গা ঢাকা দেয়। পরে দুই কিশোরীর বাবা মুচলেকা দেন, মেয়ের বয়স ১৮ বছর হওয়া আগে বিয়ে দেবেন না।