ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ১৩ ইন্টার্ন চিকিৎসক ছাত্রাবাসে আজীবন নিষিদ্ধ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নেওয়ার অভিযোগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ১৩ জন ইন্টার্ন চিকিৎসককে ছাত্রাবাসে আজীবন নিষিদ্ধ ও বিভিন্ন মেয়াদে ইন্টার্নশিপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কলেজের ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় আজ শনিবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের পরিচালিক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ জারি করা হয়।
ইন্টার্ন ১৩ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান গ্রহণ, আন্দোলন বানচালের উদ্দেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়া, ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের অপরাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের অভিযোগ আনা হয়েছে অফিস আদেশে। তাঁরা বিভিন্ন সময় সাধারণ শিক্ষার্থী–চিকিৎসকদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, হোস্টেলে মাদক বাণিজ্য, মাদক সেবন ইত্যাদি অপরাধে জড়িত বলে আদেশে বলা হয়েছে।
১৩ ইন্টার্ন চিকিৎসকের সবাইকে হোস্টেলে আজীবন নিষিদ্ধ করা হলেও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে ইন্টার্নশিপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতীক বিশ্বাস, আবু সালেহ মো. লতিফুল কবির, সুনীতি কুমার দাস, ফায়দুর রহমানকে দুই বছরের জন্য ইন্টার্নশিপ থেকে বহিষ্কার, শামীম রেজার এক বছরের জন্য ইন্টার্নশিপ সার্টিফিকেট স্থগিত; নাইমুর রশীদ, মেহেদী হাসান, আবু তাহের বিল্লাহ, কামরুল হাসান, আবু রায়হানকে ১ বছরের জন্য, সাখাওয়াত হোসেনকে ছয় মাসের জন্য ইন্টার্নশিপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর অর্ণব কুন্ডু ও কাশফি তাবরিজকে শুধু ছাত্রাবাসে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাঁরা সবাই মেডিকেলে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর ওই ১৩ শিক্ষার্থীর ইন্টার্নশিপ সাময়িক স্থগিত করেছিল হাসপাতালের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ডিসিপ্লিনারি কমিটির এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে লিখিত এবং সরাসরি উপস্থিত হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক জাকিউল ইসলাম বলেন, আগে সাময়িকভাবে ১৩ জনের ইন্টার্নশিপ স্থগিত করা হয়েছিল। তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা একটি দরখাস্ত করেন। সেটি পর্যালোচনা করে ডিসিপ্লিনারি কমিটি সভা করে তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে।