কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আহ্বান

বান্দরবান জেলার মানচিত্র

বান্দরবানে নতুন সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের(কেএনএফ) সদস্যদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করতে এবং অস্ত্র সমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। আজ রোববার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, কেএনএফের সঙ্গে চার দফা অনলাইন ও দুই দফা সশরীর বৈঠকে দুটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। সেখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা, অপহরণ-চাঁদাবাজি না করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কেএনএফ চুক্তি ভঙ্গ করে ব্যাংকে ডাকাতি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে হামলা এবং অপহরণের মতো বর্বরোচিত ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। তারা ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে অহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করেছে।

এ ছাড়া থানচি উপজেলায় গুলিবর্ষণ এবং সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে দুটি ব্যাংকে ডাকাতি করা হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তা উদ্ধার হলেও ১৪টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এই জঘন্য ঘটনায় সমগ্র জাতি স্তম্ভিত হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে সই করেন শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমা, সদস্যসচিব ও বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লালজার লম বম।

বিবৃতিদাতারা বলেন, কেএনএফ চুক্তি ভঙ্গ করলেও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ৯৬৮টি বম পরিবারের মধ্যে ১৩৪ টন চাল, ডাল, নগদ টাকা ও শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়েছে। কারাগার থেকে দুজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আরও দুজনের মুক্তির ব্যাপারে প্রক্রিয়াধীন। কেএনএফের দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার রাতে ও পরদিন দুপুরে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালান সশস্ত্র লোকজন। তাঁরা টাকা লুট করেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করেন, একজন ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও আনসারের ১৪টি অস্ত্র ও গুলি লুট করে নিয়ে যান তাঁরা। এসব ঘটনায় কেএনএফ জড়িত বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব ঘটনায় ছয়টি মামলা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে শুরু হয়েছেন সমন্বিত অভিযান। গত শনিবার রাতে কেএনএফের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।