নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ ১৮৩ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা হয়েছে। এ নিয়ে জেলার বিভিন্ন থানায় ১৭টি হত্যাসহ মোট ২০টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি হত্যাসহ ১৫ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের কায়েমপুর এলাকার বাসিন্দা নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলাটি করেন। নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে আদিলুর রহমান (১৭) নামের এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় মামলাটি করা হয়। ঘটনার সময় নিহত কিশোরের বন্ধু আপন দৃষ্টিশক্তি হারান। মামলার বাদী আপনের বাবা নুরুজ্জামান।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, শ্যালক তানভীর আহমেদসহ ১৮৩ জন। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার মিছিল চাষাঢ়া গোলচত্বর থেকে ভূঁইগড় এসবি গার্মেন্টসের সামনে পৌঁছালে বেলা একটার দিকে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান, শামীম ওসমান ও অয়ন ওসমানের নির্দেশে আসামিরা ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালান। এ সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে বাদীর ছেলে আপনের চোখ মাথাসহ শরীর রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত হয় এবং ছেলের বন্ধু আদিলুর গুলিবিদ্ধ হন। ছেলেসহ আদিলুরকে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা আদিলুরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং বাদীর ছেলে দৃষ্টিশক্তি হারান। আসামিরা তাঁর ছেলে আপনসহ ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই বেপরোয়াভাবে বোমা বিস্ফোরণ ও গুলি ছুড়ে ছেলেকে গুরুতর আহত এবং ছেলের বন্ধুকে হত্যা করেন।