নাঙ্গলকোটের পর এবার চান্দিনা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা-২ শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়। চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ প্রতিপালনের কথা বলা হয়েছে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপে এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ আজ বিকেলে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম প্রধান পদত্যাগ না করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন। গতকাল রোববার ছিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন। বাছাই চলাকালীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগেই উচ্চ আদালতের আদেশ উপস্থাপন করেন তিনি। এতে বলা হয় সেলিম প্রধানের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করার জন্য। পরে নির্বাচন কমিশনে সেটি পাঠানো হলে কমিশন নির্বাচন স্থগিত করে।
নির্বাচন–সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চান্দিনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাতজন মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ছয়জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। সেলিম প্রধানের মনোনয়নপত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য রাখা হয়। সেলিম প্রধান মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আগেই ৮ মে উচ্চ আদালত থেকে আদেশ নিয়ে আসেন তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণের জন্য।
৬ মে রাত ১০টায় নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হওয়ার দুই ঘণ্টা আগে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। ৮ মে নাঙ্গলকোটের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। এ নিয়ে প্রথম ধাপে নাঙ্গলকোট ও চতুর্থ ধাপে চান্দিনা উপজেলা নির্বাচন স্থগিত হলো।
কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, কমিশন পরবর্তী সময়ে যে নির্দেশনা দেবে, সেই আলোকে নির্বাচন হবে।
কুমিল্লার ১৭ উপজেলার মধ্যে প্রথম ধাপে তিনটি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে তিনটি উপজেলায় (একটি উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সবাই জয়ী) ২১ মে ভোট হবে। তৃতীয় ধাপে চারটি উপজেলায় ২৯ মে, চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ৫ জুন ভোট হবে। মোট ১২টি উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে। দুটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। অপর তিনটি উপজেলায় পরে ভোট হবে। সেগুলোর তফসিল এখনো ঘোষণা করা হয়নি।