রায়পুরায় মোটরসাইকেল থামিয়ে একজনকে কুপিয়ে হত্যা, আরেকজন গুরুতর আহত

হত্যা
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর রায়পুরায় মোটরসাইকেল থামিয়ে দুই ব্যক্তিকে কুপিয়ে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ওই মোটরসাইকেলের চালক মো. মোমেন মিয়া (৪০) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। মোটরসাইকেলের পেছনে বসা তাঁর ভাগনে অনিক মিয়াকে (২০) মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে রায়পুরার মরজাল ইউনিয়নের ভিটি মরজালের চারাবাগ এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ হামলা ঘটে। নিহত মোমেন মিয়া জেলার শিবপুর উপজেলার যোশর ইউনিয়নের উত্তরপাড়ার আসাদ মিয়ার ছেলে। বাড়িতে মুরগির খামার ও ডিমের ব্যবসা করতেন তিনি। গুরুতর আহত অনিক মিয়া রায়পুরা উপজেলার বারৈচার এলাকার আলী হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, দুপুরে ভাগনে অনিককে নিয়ে মোটরসাইকেলে বারৈচার দিকে যাচ্ছিলেন মোমেন মিয়া। মহাসড়কের চারাবাগ এলাকা অতিক্রমের সময় পেছন থেকে দ্রুতগতিতে আসা এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা তাঁদের পথ রোধ করে। অটোরিকশাটি থেকে নেমে দুজন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে বসা মোমেন ও অনিককে উপর্যুপরি কোপাতে শুরু করেন। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের কোপানো হয় তাঁদের। মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ওই অটোরিকশাতে চেপে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন ওই দুজন।

আশপাশের লোকজন সেখানে গিয়ে মোমেন মিয়াকে মৃত অবস্থায় এবং অনিক মিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেন। অনিককে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘অনিক নামের তরুণকে বিকেল চারটার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’

নিহত মোমেনের ছোট ভাই মামুন মিয়া বলেন, আহত ভাগনে অনিকের মাধ্যমে তাঁরা জেনেছেন, এলাকার সালাম ও শামীম নামের দুজন এ হামলা করেছেন। তাঁদের সঙ্গে পূর্বশত্রুতা ছিল। এর জের ধরে ওই দুজন তাঁর বড় ভাই ও ভাগনেকে হত্যার জন্য এভাবে কুপিয়েছেন।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফায়েত হোসেন ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত মোমেন মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যরা মামলা করতে আসবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।