শিক্ষার্থীদের বাধায় গাজীপুরে ৬ ঘণ্টা আটকে থাকল মৈত্রী এক্সপ্রেস

গাজীপুরে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভের সময় কলকাতা থেকে ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সেপ্রেস ট্রেনটি আটকে দেয়। মঙ্গলবার বিকেলে শিমুলতলী সড়কের নাওভাঙ্গা এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের বিভিন্ন স্কুল–কলেজ, পলিটেকনিকে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও চাকরির প্রার্থীরা গাজীপুরে রেললাইন অবরোধ করেন। অবরোধের কারণে ৬ ঘণ্টা পর আজ মঙ্গলবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

বেলা তিনটার সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে গাজীপুর মহানগরীর নাওভাঙা এলাকায় রেললাইনে অবস্থান নিয়ে কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে দেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা রেলক্রসিংয়ের ক্রসবার খুলে ও লাঠিসোঁটা নিয়ে রেললাইনে বসে পড়েন। এতে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল। এ সময় গাজীপুর–শিমুলতলী সড়কও অচল হয়ে যায়। তবে রাতে শিক্ষার্থীরা সরে গেলে রেল ও সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।

আরও পড়ুন

জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশনমাস্টার হানিফ আলী বলেন, রাত ৮টা ৪০ মিনিটে লাইন ‘ক্লিয়ার’ হয়েছে। এখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে মহানগরীর শিমুলতলী রোডের নাওভাঙা এলাকায় বিকেলে গেট বেরিয়ার ভেঙে লাইনে ফেলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে  গাজীপুর-উত্তরবঙ্গ রেললাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেন কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীরা। আটকা পড়ে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস।

বেলা তিনটার পর ডুয়েট গেটে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গাজীপুর শহরের শিববাড়িতে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। এরপর তাঁরা মিছিল নিয়ে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তার দিকে চলে যান।

এর আগে দুপুরের পর থেকে ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নেন কোনাবাড়ী এলাকার বিভিন্ন স্কুল–কলজের শিক্ষার্থীরা। এতে বন্ধ হয়ে যায় ওই মহাসড়কে যান চলাচল। এদিকে বিকেলে শিক্ষার্থীদের সমন্বিত আন্দোলনে ঢাকা–জয়দেবপুর ও ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কেও যানবাহন চলাচল অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন চলাচল।

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রলীগ পরিকল্পিত হামলা করেছে। হামলাকারীদের বিচার চান আন্দোলনকারীরা। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধেরও দাবি জানান তাঁরা। সেই সঙ্গে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কোটা সংস্কারের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।