ঢাকার উদ্দেশে হবিগঞ্জের বাড়ি ছাড়লেন হামজা

হবিগঞ্জে নিজ বাড়িতে মঙ্গলবার অসহায় মানু‌ষের ম‌ধ্যে অর্থ বিতরণ কর‌ছেন হামজা চৌধুরী
ছ‌বি: প্রথম আ‌লো

হবিগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে ২৬ ঘণ্টা বেড়ানো শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরী। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় হামজা সিলেটে রওনা হন। সেখান থেকে রাত ৮টায় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে উড়াল দেবেন হামজা।

আজও হামজার গ্রামের বাড়িতে মানুষের আনাগোনা ছিল বেশ। মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের লোকজনের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নানা স্থান থেকে আসা মানুষ প্রিয় তারকাকে একনজর দেখতে জড়ো হন হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে।

অনেকটা অলস সময় কাটিয়েছেন হামজা। ঘুম থেকে বেলা তিনটায় ওঠেন হামজা। বিকেল ৪টায় বাড়ির ছাদে উঠে উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় সিলেটি ভাষায় হামজা বলেন, ‘আপনারা আমার লাগি ও আমার পরিবারের লাগি দোয়া করবা।’

এর কিছুক্ষণ পরেই হামজা বাড়ির ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে গ্রামের অসহায় ও দরিদ্র লোকজনের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করেন।

অবশ্য সকাল থেকে বাড়ির ভেতরে কাউতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বাড়ির লোকজন আগতদের উদ্দেশে জানান হামজা বিশ্রাম নিচ্ছেন, কারও সঙ্গে তিনি দেখা করবেন না। এদিকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে হামজা বাড়ি ছাড়েন। সিলেট থেকে বিমানে ঢাকায় পৌঁছাবেন।

হামজা গতকাল সোমবার লন্ডন থেকে সিলেট আসেন। সিলেটে সরাসরি তাঁর গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে আসেন বেড়াতে। সেখানে ২৬ ঘণ্টা অবস্থান করেন ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির সাবেক এই ফুটবল তারকা। হামজা চৌধুরী হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামের বাসিন্দা দেওয়ান গোলাম মোর্শেদ চৌধুরী ও রাফিয়া চৌধুরীর ছেলে। হামজার জন্ম ইংল্যান্ডের লাফবোরো শহরে। খেলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে।