বগুড়ার গাবতলীতে যাত্রাবিরতির দাবিতে ট্রেন থামিয়ে রেলপথ অবরোধ

বগুড়ার গাবতলীতে আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সুখানপুকুরেছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর রেলওয়ে স্টেশনে আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে ট্রেন থামিয়ে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সান্তাহার ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী আন্তনগর দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।

রেলপথ অবরোধের কারণে ঢাকা-সান্তাহার-লালমনিরহাট রুটে প্রায় আধা ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ছাড়াও নানা শ্রেণি–পেশার কয়েক শ মানুষ অংশ নেন। এ সময় তাঁরা আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়াও স্টেশনে সব ধরনের কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতি দেওয়ার দাবি জানান।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সান্তাহার ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী আন্তনগর দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেন আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুখানপুকুর রেলস্টেশন অতিক্রম করার কথা ছিল। এ সময় স্থানীয় কয়েক শ লোক রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেন থামাতে বাধ্য হন চালক। অবরোধকারীরা ট্রেনটি আটকে রেখে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। সমাবেশে স্থানীয় আবদুল গফফার, আমিনুর রহমান, আবদুল হান্নান, সেলিম হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আন্দোলনকারীরা বলেন, সুখানপুকুর ব্রিটিশ আমলের রেলস্টেশন। এখানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও কয়েক শ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে। রেলওয়ের ৩০০ বিঘা সম্পত্তি আছে। সুখানপুকুর থেকে বগুড়া শহরের দূরত্ব ২২ কিলোমিটার। ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি ও শিক্ষায় এলাকার ঐতিহ্য থাকলেও আন্তনগর ট্রেনের কোনো যাত্রাবিরতি দেওয়া হয় না। স্বাধীনতার পর থেকে সেখানে আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে এলাকাবাসী আন্দোলন করলেও সরকার এত দিন সেই দাবি পাশ কাটিয়ে গেছে।

সমাবেশে বলা হয়, রেল মন্ত্রণালয় ছাড়াও রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ট্রেনের যাত্রাবিরতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এখন এ রুটে চলাচলকারী আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস, আন্তনগর রংপুর এক্সপ্রেস, আন্তনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেসসহ সব আন্তনগর ও কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতি দিতে হবে। দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রায় ২০ মিনিট আন্তনগর দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে রাখার পর অবরোধকারীরা রেলপথ থেকে সরে গেলে ট্রেনটি পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বগুড়া রেলস্টেশনের মাস্টার সাজেদুর রহমান বলেন, সান্তাহার থেকে পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুখানপুকুর রেলস্টেশন অতিক্রম করার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে লোকজন জড়ো হয়ে রেলপথের ওপর সমাবেশ করছিল। এতে প্রায় ২০ মিনিট পর ট্রেনটি পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তিনি বলেন, সুখানপুকুরের মতো কম গুরুত্বপূর্ণ আরও অনেক স্টেশন আছে। সবখানে যাত্রাবিরতি দিলে রেলসেবা বিঘ্নিত হতে পারে।