মসজিদ কমিটির সভাপতির কোরবানিতে দেরি করায় ইমামকে মারধর
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি মসজিদ কমিটির সভাপতির কোরবানির গরু জবাইয়ে দেরি হওয়ায় ইমামকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহার দিন সকাল ১০টায় শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি মধ্যপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পরে ওই ইমামকে মৌখিকভাবে চাকরি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন অভিযুক্ত সভাপতি।
ওই ইমামের নাম আবুবক্কর সিদ্দিক (৪০)। তিনি স্থানীয় ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুন নূর জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। অন্যদিকে ওই মসজিদ কমিটির সভাপতির নাম কফিল উদ্দীন। তিনি একই গ্রামের বাসিন্দা।
মসজিদের ইমাম ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ঈদের নামাজের পর ইদ্রিস আলী নামের স্থানীয় এক বাসিন্দার গরু জবাই করতে যান ইমাম আবুবক্কর। ওই সময় ইমামকে মুঠোফোনে কল দিয়ে দ্রুত নিজের কোরবানির গরু জবাই করে দিয়ে যেতে বলেন সভাপতি কফিল উদ্দীন। ইদ্রিস আলীর বাসায় কাজ শেষ করে সকাল ১০টার দিকে সভাপতির বাড়িতে চলে যান ইমাম। এ সময় ইমামকে লাঞ্ছিত করেন সভাপতি। তাঁর অনুমতি ছাড়া অন্য কারও গরু কেন জবাই করা হলো, এ নিয়ে কফিল রাগারাগিও করেন। একপর্যায়ের ইমামের গায়ে হাত তোলেন তিনি।
এ বিষয়ে ইমাম আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘আমাকে চাকরি ছাড়তে বলা হয়েছে। আমি চাকরি ছেড়ে দেব। আর মারধরের বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েছি।’
অভিযুক্ত কফিল উদ্দীনের বক্তব্য জানার জন্য তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে কল দিলে তিনি ধরেন। তবে গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংযোগ কেটে দেন। এরপর একাধিকবার কল দিলেও তিনি আর সাড়া দেননি।
এদিকে অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান মণ্ডল। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মারধর করা জঘন্য কাজ। এমন কাজের জন্য উপযুক্ত আইনগত শাস্তি পাওয়া উচিত।
অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে শ্রীপুর থানা-পুলিশ।