বিচার বিভাগকে সরকারের কর্তৃত্ব থেকে আলাদা করতে হবে: জোনায়েদ সাকি

গাজীপুরে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত গণসংলাপে বক্তব্য দেন দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। শুক্রবার বিকেলে নগরর চান্দনা চৌরাস্তায়ছবি: প্রথম আলো

দেশের বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও সরকারের কর্তৃত্ব থেকে আলাদা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। আজ শুক্রবার বিকেলে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার চান্দনা চৌরাস্তায় আয়োজিত গণসংলাপে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘দেশের বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করতে হবে। সরকারের কর্তৃত্ব থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে হবে। বিচার বিভাগ উচ্চ আদালতের অধীন একটি সচিবালয় দ্বারা চলবে। উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ সরকারের সঙ্গে থাকলে চলবে না। নিম্ন আদালতের নিয়োগ উচ্চ আদালত দেবে। আমাদের সরকারের জবাবদিহি আনতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কোনো জবাবদিহি নাই। দুই টার্ম (মেয়াদ) থাকলেও তো তিনি ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তাঁকে অবশ্যই জবাবদিহি করা উচিত।’

গাজীপুর জেলা গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে এ গণসংলাপের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক রায়, জেলার আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন, সদস্যসচিব লিটন হোসেন, সদস্য লুবনা ইয়াসমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা মনে করি, সরকার, রাজনৈতিক দল, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষসহ দেশের সব জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। জনগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই করবে।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার মানে পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা কিংবা সিটি করপোরেশনে তো কোনো নিয়োগ হচ্ছে না। শেখ হাসিনা তো একটা নিয়োগ বানিয়ে ফেলেছিলেন। মার্কার নির্বাচন এনেছেন। তারপর মার্কার নির্বাচন দিয়ে একটা নিয়োগ বানিয়েছেন। পয়সা নিয়েছে, নিয়োগ দিয়ে নৌকা মার্কা দিয়েছে, আর নৌকা পেলেই জিতে যাবে। এই ছিল তাঁর স্থানীয় সরকার।’

গণসংলাপে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গতিমুখ, বাজার নিয়ন্ত্রণ, দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় করার দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া পোশাক শ্রমিকসহ অন্যান্য খাতের শ্রমিকদের চাকরির নিরাপত্তা ও সর্বোপরি দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে সর্বাত্মকভাবে দাঁড়ানো ও নিজেদের সংগঠনের শক্তি বাড়ানো বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।