স্পিডবোট ডুবে সাবেক নারী ইউপি সদস্য নিহত

কক্সবাজার জেলার মানচিত্র

কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে স্পিডবোট ডুবে এক নারী যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম ফিরোজা বেগম (৫৫)। তিনি সেন্ট মার্টিন ডেইলপাড়ার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আব্বাস আলীর স্ত্রী এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের (১, ২, ৩) সাবেক সদস্য।

আজ শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথের নাফ নদীর মোহনার নাইক্ষংদিয়ার টুরারমাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাট থেকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে স্পিডবোটটি রওনা দেয়। এতে চালক ও সহকারী ছাড়াও ২২ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে ১৭ জন পর্যটক ও ৫ জন স্থানীয় বাসিন্দা। নাইক্ষংদিয়ার টুরারমাথা এলাকায় আসার পর ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে স্পিডবোটটির তলা ফেটে ভেতরে পানি ঢুকতে শুরু করে। একপর্যায়ে স্পিডবোটটি ডুবে যায়। এ সময় কোস্টগার্ডের একটি টহল দল ও অপর একটি স্পিডবোট এসে যাত্রীদের উদ্ধার করে। তবে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন।

সেন্ট মার্টিন ২০ শয্যার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাঈমুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, স্পিডবোটডুবির ঘটনায় আহত তিনজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে ফিরোজা বেগম নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হঠাৎ করে দমকা হওয়ার কবলে পড়ে স্পিডবোটটির তলা ফেটে যায়। দ্রুত কোস্টগার্ডের সহযোগিতা পাওয়ার কারণে যাত্রীদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে সাবেক এক নারী ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, টেকনাফ-সেন্ট মার্টিনে নৌপথে চলাচলের যে স্পিডবোট রয়েছে, এর অধিকাংশই পুরোনো। সরকারের কোনো দপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই এসব স্পিডবোট চলাচল করে আসছে। প্রতি যাত্রীর কাছ থেকে ৭০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হয়। ধারণক্ষমতার তুলনায় বেশি যাত্রী পরিবহন করা হয় এসব স্পিডবোটে।

জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্পিডবোটডুবিতে এক নারীর মৃত্যুর খবর শুনেছি। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’