শীতলক্ষ্যায় নোঙর করা জাহাজের ট্যাংকারে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৮

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন বলেন, বন্দরে তেল খালাস করার পর খালি জাহাজটি ঘাটে নোঙর করা ছিল। রাতে ট্যাংকারের ভেতরে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মুহূর্তেই আগুন ধরে জাহাজের শ্রমিক ও কর্মচারীরা দগ্ধ হয়েছেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, জাহাজে আগুনের ঘটনায় আটজনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। বাকি তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। দগ্ধ হুমায়ুনের শরীরের ৩০ শতাংশ, তাজুলের ৬৭, ইমতিয়াজের ৩০, রুবেলের ৪৫, সোহেলের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের শ্বাসনালি পুড়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক। রাকিব, রাহাদ ও নাজমুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

জাহাজটির শ্রমিক-কর্মচারীরা বলেন, গতকাল চট্টগ্রাম থেকে তেল নিয়ে নরসিংদীতে খালাসের পর জাহাজটি রূপগঞ্জের নিজস্ব জেটিতে রাখা হয়। রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ ইঞ্জিন কক্ষে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন দেখে জাহাজে থাকা অনেকেই শীতলক্ষ্যা নদীতে লাফিয়ে পড়েন। পরে সহকর্মীদের সহযোগিতায় সাঁতরে তাঁরা তীরে ওঠেন। কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন।

রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পরিদর্শক আতাউর রহমান বলেন, রাতে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট এসে আগুন নেভায়। তেলবাহী  জাহাজের খালি ট্যাংকারে জমা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে ধারণা করা হচ্ছে। দগ্ধদের মধ্যে পাঁচজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।