কিশোরগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা

গতকাল বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচির সময় বিএনপির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়
ছবি: প্রথম আলো

কিশোরগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক অনিক কুমার সাহা বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে এই মামলা করেন। মামলায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬০ থেকে ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবু নাছেরকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে আবু নাছেরকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিঞা, মো. নাজমুল আলম, আমিনুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ ও ছাত্রদলের সভাপতি মো. মারুফ মিয়া।

আরও পড়ুন

এর আগে গতকাল বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়ার কর্মসূচির সময় বিএনপির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৩টি গুলি ছোড়ে। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের স্টেশন রোডের জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ আবু নাছের ও সাইফুল ইসলামসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, গতকাল বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়ার কর্মসূচিতে যুবদলের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে যোগ দিতে গেলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে বিনা উসকানিতে পুলিশ ব্যানার কেড়ে নিয়ে মিছিলকারীদের লাঠিপেটা ও গুলি করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় জেলা যুবদলের সভাপতিসহ অন্তত ১৮ জন নেতা-কর্মী আহত হন। বিনা কারণে যাঁরা পুলিশের মারধরের শিকার হলেন, এখন আবার তাঁদের বিরুদ্ধেই মামলা দিয়ে উল্টো হয়রানি করা হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ দাউদ বলেন, বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদ্‌যাপনের নামে বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেছিলেন। মিছিল থেকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করায় তিনি নিজে তাঁদেরকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু নেতা-কর্মীরা আরও বেপরোয়া হয়ে তাঁর দিকে চেয়ার ও ইটপাটকেল ছুঁড়তে শুরু করেন। এ ঘটনায় তিনিসহ পুলিশের অন্তত ১২ জন সদস্য আহত হন। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় সন্ত্রাস দমন আইনে পুলিশের পক্ষ থেকে এ মামলা করা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।