দলকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করলে দলীয় ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে: শামসুজ্জামান দুদু
যাঁরা ব্যক্তিস্বার্থে দলকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, যাঁরা বিতর্কিত কাজ করবেন, তাঁরা বিএনপির কর্মী হতে পারেন না।
সিলেটে আজ শুক্রবার বিকেলে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু এ কথা বলেন। তিনি সাইফুর রহমান সম্পর্কে বলেন, এম সাইফুর রহমান দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ছিলেন। তাঁর হাত ধরে বাংলাদেশে অর্থনীতির ভিত রচিত হয়। তিনি নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতায় মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। যুগে যুগে এই ক্ষণজন্মা পুরুষকে দেশবাসী স্মরণ করবেন।
সাইফুর রহমান স্মৃতি সংসদ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ স্মরণসভার আয়োজন করে। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশন সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এম সাইফুর রহমান একজন পরিপূর্ণ রাজনীতিবিদ ছিলেন। বাংলাদেশে জন্ম নিয়েছেন বলে তিনি সর্বোচ্চ অর্থমন্ত্রী পর্যন্ত হতে পেরেছেন। আমেরিকা কিংবা ব্রিটেনে জন্ম নিলে তিনি সে দেশের প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন। আমরা তাঁর যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারিনি।’ বিভিন্ন সময়ে সাইফুর রহমানকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এম সাইফুর রহমান নিজে যে সার্কিট হাউস তৈরি করেছিলেন, সেখানে তাঁকে থাকতে দেওয়া হয়নি। তিনি কখনো অপমানকে অপমান হিসেবে নেননি। যত আক্রমণ এসেছে, কাজের মাধ্যমে এর প্রতিশোধ নিয়েছেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অন্যতম সহচর এম সাইফুর রহমান বিএনপির অন্যতম পথপ্রদর্শক ছিলেন। হাজার নির্যাতনের মধ্যে যে আলোকবর্তিকা দলকে সামনের দিকে পথ দেখিয়েছিল, সাইফুর রহমান তার অন্যতম একজন।’
শামসুজ্জামান আরও বলেন, ‘১৬ বছরের বিএনপির লড়াই চূড়ান্ত করেছেন শিক্ষার্থী। আমরা তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ; কিন্তু এই লড়াই শেষ হয়ে যায়নি। পার্শ্ববর্তী একটি দেশ স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়েছে। সেখান থেকে নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে দলের নেতা-কর্মীদের সচেতন থাকতে হবে।’
বিএনপি নেতা সালেহ আহমদের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি শামীমুর রহমান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সিদ্দিকুল ইসলাম প্রমুখ।