রাসেল ভাইপারের ছোবল: সুস্থ হয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরলেন সেই কৃষক
বিষধর সাপ রাসেল ভাইপারের ছোবল খাওয়া রাজবাড়ীর কৃষক জাহিদ প্রমাণিক হাসপাতাল ছেড়েছেন। সুস্থ হয়ে ওঠায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসক তাঁকে ছাড়পত্র দিয়েছেন। এরপর মা ও স্ত্রীর সঙ্গে তিনি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। গত চার দিন তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ড (পুরুষ) ভর্তি ছিলেন।
ছাড়পত্র পেয়ে আনন্দিত জাহিদ প্রমাণিক। তিনি প্রথম আলোকে বললেন, ‘আল্লাহই বাঁচাইছে। বাড়িত গি মাঠে যাব। কাজ কইরব।’ বলেই দাঁত বের করে হাসলেন।
পাশে বসে থাকা মা সামেলা খাতুন বলে উঠলেন, ‘তা হবি নানে। ডাক্তার কইচে রেস্টে থাকতে। মাঠে যাওয়া যাবি নানে। বাড়িত থাকপা।’ স্ত্রী রাবেয়া খাতুনও একই কথা শোনালেন স্বামী জাহিদকে।
জাহিদের বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর চরপাড়া গ্রামে। পাটখেতে নিড়ানি দেওয়ার সময় গত সোমবার সকালে জাহিদ প্রামাণিকের ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে ছোবল দেয় বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার। সাপটিকে মেরে ফেলেন তিনি। এরপর চলে যান স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে চিকিৎসক সাপটিকে বিষধর রাসেল ভাইপার বলে শনাক্ত করেন। পরে তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল।
আজ বেলা দেড়টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জাহিদের মা ও স্ত্রী হাসপাতালে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোছাচ্ছেন। জাহিদ বিছানায় বসে আছেন। হাসিমুখ নিয়ে বললেন, ‘ডাক্তার নার্সরা খুব ভালো চিকিৎসা দিচে। এখন আমার কোনো সমিস্যা নাই। আঙ্গুলের ফোলাও নাই। সব ভালো হয়ি গিছে। বাড়িত যাব। মাঠে কাজ করতি হবি।’
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আক্রামুজ্জামান মিন্টু প্রথম আলোকে বলেন, সকালে তাঁকে দেখা হয়েছে। এই চার দিনে বেশকিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষাও করানো হয়েছে। তাতে মনে হচ্ছে তিনি আপাতত সুস্থ। তবে তাঁকে আগামী কয়েক মাস ফলোআপে রাখা হবে। কিছুদিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।