সন্দ্বীপ থেকে সীতাকুণ্ড উপকূলে ভেসে আসছে মহিষের পাল
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে অতিরিক্ত জোয়ারে সন্দ্বীপের চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে দল বেঁধে মহিষ সীতাকুণ্ড উপকূলে ভেসে এসেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের একাধিক স্থান থেকে অর্ধশতাধিক মহিষ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। এ সংখ্যা আরও শতাধিক হবে বলে জানা গেছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহিষের পাল ভেসে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি।
আজ দুপুরের পর সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নের উপকূলে মহিষের পাল ভেসে আসে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে। স্থানীয় লোকজন মহিষগুলো উদ্ধার করে নিয়ে গেছেন। অনেকে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন।
উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকায় জাহাজভাঙা শ্রমিক আবদুল আলিম বলেন, বেলা দুইটার দিকে সন্দ্বীপ চ্যানেলে ভেসে আসা একপাল মহিষ সাইনবোর্ড এলাকার একটি জাহাজভাঙা কারখানা এলাকায় ওঠে। স্থানীয় ব্যক্তিরা সেগুলো উদ্ধার করে একটি কক্ষে বেঁধে রাখেন। সেখানে ৩৯টি মহিষ রয়েছে। এ ছাড়া কুমিরা ইউনিয়নের আকিলপুর এলাকার অপর একটি জাহাজভাঙা কারখানা এলাকায় ১২টি মহিষ উদ্ধার করেছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সৈয়দপুর, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড ও কুমিরা এলাকায় কোথাও দুটি, আবার কোথাও পাঁচটি মহিষ ভেসে এসেছে।
এ ছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নেও মহিষ আছে বলে জানা যাচ্ছে। সঠিক হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। তাদের ধারণা, সন্দ্বীপ উপকূল থেকে মহিষগুলো সন্দ্বীপ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সীতাকুণ্ড উপকূলে এসে পৌঁছেছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সীতাকুণ্ডের উপকূলীয় তিনটি ইউনিয়নে মহিষ ভেসে আসার খবর তাঁরা পেয়েছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের খোঁজখবর নিয়ে উদ্ধার হওয়া মহিষগুলো হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পরে কোনো ব্যক্তি মালিকানা দাবি করলে প্রমাণপত্র উপস্থাপন সাপেক্ষে মহিষ হস্তান্তর করা হবে। তাঁর ধারণা, সন্দ্বীপের চরাঞ্চলে অতিরিক্ত জোয়ারের কারণে মহিষগুলো ভেসে সীতাকুণ্ড উপকূলে চলে এসেছে।