মারধরের প্রতিবাদে বকশীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের বিক্ষোভ

জামালপুরের বকশীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক-কর্মচারীদের মারধরের প্রতিবাদ ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল। আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণেছবি: প্রথম আলো

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক-কর্মচারীদের মারধরের প্রতিবাদে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ কর্মসূচি পালন করেন হাসপাতালটির চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা।

আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল হক ও মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব) সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

আরও পড়ুন

বক্তারা বলেন, চিকিৎসকেরা মানুষকে সেবা দিতে এসেছেন, তাঁরা কারও প্রতিপক্ষ নন। কিন্তু কিছু দুর্বৃত্ত চিকিৎসকদের ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। অবিলম্বে এসব হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করতে হবে। একই সঙ্গে কর্মস্থলে সব চিকিৎসক ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তাঁরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে বুকে ব্যথা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান উপজেলার সীমারপাড় গ্রামের রিকশাচালক রজব আলী (৪৫)। চিকিৎসা নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে তাঁর স্বজনেরা উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আসমা লাবনীসহ কর্মচারীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারধর করেন। এর প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কলাপসিবল গেটে তালা লাগিয়ে সব ধরনের সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরে আজ বুধবার সকাল থেকে আবার চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়েছে।

হাসপাতালের চিকিৎসকের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে বকশীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মোহাম্মদ আজিজুল হক। মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, এ মামলায় ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। আর চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তায় হাসপাতাল এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।