৩ বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা কামালছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা কামালকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের কালীবাড়ি মোড় এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সদর মডেল থানা-পুলিশ।

মোস্তফা কামাল জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘরের বাসিন্দা। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি মডেল কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। পরে নবীনগর উপজেলার দানবীর মহেশ ভট্টাচার্য বিদ্যাপীঠের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে সরিয়ে নিজেই অধ্যক্ষ হন।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে সারা দেশে আন্দোলন হয়। ২৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নন্দনপুর বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের গুলিতে নিহত হন বুধল উত্তরপাড়ার কাউসার আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তি। তাঁর চাচা আকরাম হোসেন ১০ সেপ্টেম্বর সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী মাউশির সাবেক মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা কামালসহ ১৯৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলেন, মোস্তফা কামাল নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দক্ষ ছিলেন। পিএইচডি না করেও নিজের নামের সঙ্গে ডক্টর লাগাতেন তিনি। সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী মোকতাদির এবং তাঁর স্ত্রী ফাহিমা খাতুনের আস্থা অর্জন করেছিলেন তিনি। কখনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকলেও সাবেক গণপূর্তমন্ত্রীর আশীর্বাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেন।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, একটি হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামালকে কালীবাড়ি মোড় থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হবে।