স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, পুলিশ কমিশনার-জেলা প্রশাসকের অপসারণ দাবি

গাজীপুরে বিক্ষোভ সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা-কর্মীরা। আজ শনিবার দুপুরেছবি: প্রথম আলো

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার প্রতিবাদে গাজীপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা-কর্মীরা। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ী মাঠে জাতীয় নাগরিক কমিটির গাজীপুর জেলা ও মহানগর শাখার আয়োজনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে ছাত্ররা জেলা শহরে খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক আলী নাসের খান, কেন্দ্রীয় সদস্য এম সোয়েব, গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা প্রতিনিধি আনিসুর রহমান, টঙ্গী পশ্চিম থানা প্রতিনিধি নাবিল ইউসুফ প্রমুখ।

আলী নাসের খান বলেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে দ্রুত বিচার আইনে ফ্যাসিবাদীদের বিচার করতে হবে। তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সম্পদ জব্দ করতে হবে। ছাত্র–জনতার ওপর হামলার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে।

আরও পড়ুন

গতকাল শুক্রবার রাতে সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ছাত্র–জনতার ওপর হামলায় ঘটনাস্থলে পুলিশ ও প্রশাসন বিলম্ব করে পৌঁছায়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগের দাবি জানান আলী নাসের খান। এ ছাড়া গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের অপসারণের দাবি করেন তিনি।

ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা বলেন, গত রাতে আওয়ামী লীগ ও দোসররা পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। তারা ছাত্রদের ট্রাপে ফেলে হামলা করেছে। গাজীপুর থেকেই আজ ফ্যাসিবাদের মূল উপড়ে ফেলার কার্যক্রম শুরু হবে। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর জাহাঙ্গীর আলমের লোকজন হামলা করেছেন। আ ক ম মোজাম্মেলের বাড়ি ভাঙচুরের অজুহাতে ছাত্রদের হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সাধারণ মানুষ এভাবে হামলা করতে পারে না। হাসিনার প্রেতাত্মারা ভারতে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের সব ধরনের ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। গাজীপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা খুবই হতাশাজনক। দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনারকে পদত্যাগ করতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে কয়েকজনকে আটক করে মারধর করা হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনের অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।