রাজশাহীতে সরকারনির্ধারিত দামে মিলছে না গ্যাস সিলিন্ডার
রাজশাহীতে সরকারনির্ধারিত নতুন দামে ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডার মিলছে না। পরিবেশকেরা বলছেন, তাঁরা বেশি দামে সিলিন্ডার কিনছেন। ফলে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)–এর পক্ষ থেকে সিলিন্ডার গ্যাসের নতুন দর জানানো হয়। ফেব্রুয়ারিতে প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দর নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা। এবার ৭৬ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪২২ টাকা করা হয়েছে। কিন্তু রাজশাহীতে এই দামে সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের গৌরহাঙ্গা এলাকার পরিবেশক মেসার্স আনন্দ কুমার সাহার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, গাড়ি থেকে নতুন সিলিন্ডার নামানো হচ্ছে। ব্যবস্থাপক আকাশ সাহা বলেন, তাঁরা ওমেরা কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করেন। প্রতিটি সিলিন্ডার তাঁদের ১ হাজার ৪৭৫ টাকা করে ‘ডিও’ করেছেন। সরকারি দামের সঙ্গে তাঁদের মেলে না। তাঁদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়। এখন পাইকারি ১ হাজার ৪৮০ টাকা হলে তারা এই গ্যাস বিক্রি করবেন। তা ছাড়া বিক্রি করবেন না। অথবা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বসে তাঁদের নতুন দর নির্ধারণ করতে হবে। তা ছাড়া সরকারনির্ধারিত দামে তাঁরা গ্যাস বিক্রি করতে পারবেন না।
আকাশ সাহা বলেন, বারবার সরকার নতুন দর নির্ধারণ করে। সেই দামে তাঁরা সিলিন্ডার কিনতে পারেন না। অথচ ভোক্তা অধিদপ্তর এসে তাঁদের জরিমানা করে যায়।
নগরের কাদিরগঞ্জ এলাকায় যমুনা ও লাফস কোম্পানির গ্যাসের পরিবেশক মেসার্স হালিমা এজেন্সির কার্যালয়। এই পরিবেশকের ব্যবস্থাপক মো. পারভেজ বলেন, তাঁরা ১ হাজার ৫০০ টাকা পাইকারি দরে সিলিন্ডার বিক্রি করছেন। সরকারের বেঁধে দেওয়া নতুন দর সম্পর্কে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।