জামালপুরের সাংবাদিক রব্বানি হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল জামিনে মুক্ত

সাংবাদিক গোলাম রব্বানি হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম কারাগার থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। বুধবার বিকালে জামালপুর জেলা কারাগার প্রাঙ্গণে
ছবি: প্রথম আলো

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সাংবাদিক গোলাম রব্বানি ওরফে নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম ওরফে বাবু জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। জামালপুর জেলা কারাগারের জেলার আবু ফাত্তাহ প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন

মাহমুদুল আলম সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান। এ হত্যা মামলায় প্রায় এক বছর কারাগারে ছিলেন তিনি। অপর দিকে নিহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানি ওরফে নাদিম অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলার সংবাদ সংগ্রাহক ছিলেন। তিনি ওই উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের গোমের চর গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে।

আদালত ও কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ মে সাংবাদিক গোলাম রব্বানি হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি মাহমুদুল আলমের পক্ষে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। ওই দিন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাঁর জামিন প্রশ্নে রুল দেন। কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। পরে ৩০ জুন চূড়ান্ত শুনানি শেষে তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন

জামালপুর জেলা কারাগারের জেলার আবু ফাত্তাহ প্রথম আলোকে বলেন, আসামি মাহমুদুল আলমকে হাইকোর্ট থেকে জামিন দেওয়ার কাগজটি আজ কারাগারে আসে। বিকেলে তাঁকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগপর্যন্ত হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দিয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গোলাম রব্বানি গত বছরের ১৪ জুন রাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। হামলার পরদিন দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। হত্যার তিন দিন পর ১৭ জুন নিহত রব্বানির স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় মাহমুদুল আলম, তাঁর ছেলে ফাহিম ফয়সাল ওরফে রিফাতসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলার পর ওই মাসেই মাহমুদুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।

আরও পড়ুন

প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই ইউপির তৎকালীন চেয়ারম্যান ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে তাঁকে চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত এবং আওয়ামী লীগের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

আরও পড়ুন