সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নির্বাচনী দায়িত্বে না রাখার দাবি জানিয়েছেন এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন তিনি।
ওই প্রার্থীর নাম আবুল কাশেম। এ বিষয়ে গত শুক্রবার তিনি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী আফতাব উদ্দিন উপজেলার বাদাঘাট পাবলিক উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তাঁর (আফতাব) বড় ভাই নিজাম উদ্দিন একই উপজেলার জয়নাল আবেদীন বালিকা উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি। এ ছাড়া উপজেলা খাশতাল চরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক প্রকাশ্যে আফতাব উদ্দিনের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
আবুল কাশেম আরও জানান, তিনটি প্রতিষ্ঠানের কোনো কোনো শিক্ষক চেয়ারম্যান প্রার্থী আফতাব উদ্দিনের পক্ষে কাজ করছেন, প্রচারণা চালাচ্ছেন। সেই সঙ্গে ওই প্রার্থীকে নানাভাবে সহযোগিতা করছেন তাঁরা। এলাকায় সবাই বিষয়টি জানেন। এ নিয়ে অন্য প্রার্থীদের মধ্যেও অসন্তোষ আছে। ওই শিক্ষকেরা নির্বাচনী দায়িত্ব পেলে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না, সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে তাঁদের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে হবে।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তাহিরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ছয় প্রার্থী। তাঁরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খান, সহসভাপতি আলী মর্তুজা, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি (বহিষ্কৃত) আবুল কাশেম, বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা আফতাব উদ্দিন, তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বোরহান উদ্দিন এবং লন্ডনপ্রবাসী মিটু রঞ্জন পাল। আগামী মঙ্গলবার এ উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে।