বেড়ায় বৃক্ষরোপণের সময় হঠাৎ অসুস্থ ডেপুটি স্পিকার, হেলিকপ্টারে নেওয়া হলো ঢাকায়

পাবনার বেড়ায় বৃক্ষরোপণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার শহীদ আব্দুল খালেক স্টেডিয়ামে
ছবি: প্রথম আলো

পাবনার বেড়ায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ (সাঁথিয়া ও বেড়ার একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শামসুল হক টুকু। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ তিনি অসুস্থবোধ করেন। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জরুরি চিকিৎসার জন্য বেলা তিনটার দিকে হেলিকপ্টারযোগে রাজধানী ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠান শেষে বৃক্ষরোপণ করতে গিয়ে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় নিতে আসা হেলিকপ্টার। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার শহীদ আব্দুল খালেক স্টেডিয়ামে
ছবি: প্রথম আলো

উপজেলা প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, আজ বেলা ১১টার দিকে বেড়া বিপিন বিহারী সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক। অনুষ্ঠান শেষে তিনি নিজ বাড়ির কাছে নৌকা চত্বরে বৃক্ষরোপণের জন্য আসেন। সেখানে কয়েকটি বৃক্ষরোপণ করার এক পর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে তিনি অসুস্থবোধ করেন। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কিছুটা সুস্থবোধ করায় তাঁকে বেড়া পৌর এলাকার বৃশালিখা মহল্লায় অবস্থিত নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বেলা তিনটার দিকে তাঁকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নেওয়া হয়।

পাবনার বেড়ায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার শহীদ আব্দুল খালেক স্টেডিয়ামে
ছবি: প্রথম আলো

এ ব্যাপারে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ-জান্নাত বলেন, ‘ডেপুটি স্পিকার স্যার কিছু সময়ের জন্য অচেতন হয়ে পড়েছিলেন। আমাদের হাসপাতাল চত্বরে তাঁর গাড়ি ঢোকার পরপরই তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে এবং সুস্থ বোধ করেন। তখন ওই গাড়িতেই তিনি তাঁর বাড়িতে চলে যান। আর আমরা তাৎক্ষণিকভাবে একটি মেডিকেল টিম গঠন করে তাঁর বাড়িতে চলে যাই। আমাদের দলে একজন কার্ডিওলজিস্টও ছিলেন। সেখানে তাঁর ইসিজি করা হয়। এতে কিছুটা সমস্যা ধরা পড়ে। পরে আমরা তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিই।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি তাঁর সঙ্গেই ছিলাম। তিনি কয়েকটি গাছ লাগিয়ে আরও কয়েকটি গাছ লাগানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি একবার বমিও করেন। বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আসা মেডিকেল টিম ইসিজি করার পাশাপাশি কিছু সময় পর্যবেক্ষণে রাখে। এখন তিনি মোটামুটি সুস্থ আছেন। কিন্তু তাঁর হার্টের অবস্থা ততটা ভালো নয় বলে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়।’