সাংবাদিক রব্বানি হত্যার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান মাহমুদুল ৫ দিনের রিমান্ডে

গ্রেপ্তারের পর চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম
ছবি: প্রথম আলো

জামালপুরের বকশীগঞ্জের সাংবাদিক গোলাম রব্বানি হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবুর (৫০) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার আরও দুই আসামিকে চার দিন ও একজনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে ওই মামলায় মোট ১৩ আসামিকে রিমান্ডে পেল পুলিশ।

আজ রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জামালপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তানভীর আহম্মেদ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুন

ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল ছাড়া অন্য তিন আসামি হলেন রেজাউল করিম (২৬), মো. মনিরুজ্জামান ওরফে মনিরুল (৩৫) ও জাকিরুল ইসলাম (২৮)। এর মধ্যে রেজাউল ও মনিরুজ্জামানকে চার দিন করে ও জাকিরুলকে তিন দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। রেজাউল করিমকে বগুড়া থেকে এবং বাকি তিনজনকে পঞ্চগড় থেকে র‍্যাব গ্রেপ্তার করে।

চার আসামির রিমান্ডের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইউসুফ আলী।

আরও পড়ুন

এর আগে আজ দুপুরে আরও ৯ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তাঁদের মধ্যে চারজনের চার দিন করে ও পাঁচ আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। যে চারজনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে তাঁরা হলেন বকশীগঞ্জ উত্তর বাজার এলাকার মো. গোলাম কিবরিয়া ওরফে সুমন (৪৩), মালিরচর নয়াপাড়া এলাকার মো. মিলন (২৫), নামাপাড়া এলাকার মো. তোফাজ্জল (৪০) ও একই এলাকার মৃত আজিজুল হকের ছেলে মো. আয়নাল হক (৫৫)। যে পাঁচ আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে তাঁরা হলেন সাধুরপাড়া এলাকার মো. কফিল উদ্দিন (৫৫), দক্ষিণ কুতুবের চর গ্রামের মো. ফজলু মিয়া (৩৫) ও মো. শহিদ (৪০), মোল্লাপাড়া মসজিদপাড়া গ্রামের মো. মকবুল (৩৫), সর্দারপাড়া মেরুরচর গ্রামের মো. ওহিদুজ্জামান (৩০)।

এর আগে গতকাল শনিবার সাংবাদিক গোলাম রব্বানি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম, তাঁর ছেলেসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ২০ থেকে ২৫ জনকে।

আরও পড়ুন

গত বুধবার রাত ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন সাংবাদিক গোলাম রব্বানি। পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় তাঁর ওপর হামলা করে একদল সন্ত্রাসী। এ সময় তাঁকে টেনেহিঁচড়ে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি ও ব্যাপক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই সাংবাদিকের মৃত্যু হয়।