বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে ঢাকায় আটক, গৌরনদীতে পুরোনো মামলায় চালান
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে যাচ্ছিলেন আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির ১২ নেতা-কর্মী। গতকাল বুধবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে তাঁদের আটক করে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের গৌরনদী থানায় পাঠানো হয়। দুপুরে একটি পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছে গৌরনদী থানা-পুলিশ। তবে তাঁরা ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন না।
বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আবুল হোসেন বলেন, বুধবার ঢাকার সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন আগৈলঝাড়া উপজেলার ১২ জন নেতা-কর্মী। কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ তাঁদের আটক করে আজ সকালে গৌরনদী থানায় সোপর্দ করে। পরে পুরোনো একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
সমাবেশে যাওয়ার পথে ওই ১২ নেতা-কর্মীকে কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ আটক করেনি বলে দাবি করেছেন গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গৌরনদীতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় করা একটি মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাঁদের কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে বুধবার গ্রেপ্তার করে গৌরনদী থানা-পুলিশ। আজ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীরা হলেন আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব এ টি এম মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য মো. কাওছার মেহেদী, এ টি এম গোলাম মূর্তজা, আহসান খান, গোলাম মওলা সরদার, মো. মাসুদ বক্তিয়ার, মো. খসরুজ্জামান, মো. জালেনুচ ভাট্টি, মো. রেয়াজুল বক্তিয়ার, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. সিরাজ হাওলাদার, মো. মোশারেফ তালুকদার।
গৌরনদী থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ নভেম্বর বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে গৌরনদী মাহিলাড়া বাসস্ট্যান্ডে ঢাকার প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপির ৬১ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা হয়। ওই মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে ঢাকায় আটক নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গৌরনদী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ সরোয়ার আলম অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য সমাবেশে যাওয়ার সময় আগৈলঝাড়ার ১২ নেতা-কর্মীকে আটক করে গৌরনদী থানায় সোপর্দ করে পুলিশ। গৌরনদী থানা-পুলিশ পুরোনো একটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। শুধু সমাবেশে যাওয়ার অপরাধে নিরীহ নেতা-কর্মীদের আটক করে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।