ওসমানী মেডিকেলে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত
সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই ছাত্রের ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দুজন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে তথ্য পাওয়া গেছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে তাঁদের আটক করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ওসমানী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করলে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন এহসান আহমদ ও সাঈদ হাসান ওরফে রাব্বি। এর মধ্যে সাঈদ হাসান সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক। এহসান আহমদও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তবে তিনি কোনো পদে নেই।
সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ বলেন, সাঈদ হাসান মহানগর ছাত্রলীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক, এটা ঠিক। তবে তিনি দায়িত্ব পাওয়ার আগে মহানগর ছাত্রলীগের ওই ওয়ার্ডের কমিটি হয়েছে। তাই তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। তবে এহসান আহমদকে চেনেন না বলে দাবি করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে নাঈম আহমদ বলেন, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান দেশের বাইরে আছেন। তিনি ফিরলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই ছাত্রের ওপর হামলার ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করে। অন্যদিকে গত শনিবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষানবিশ এক চিকিৎসককে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ এনে পৃথক আরেকটি মামলা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ দুটি মামলা করা হয়। দুই মামলার আসামিরা হলেন—দিব্য, আবদুল্লাহ, এহসান, মামুন, সাজন, সুজন ও সামি।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফ উল্যাহ বলেন, মামলায় এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক দল অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে দুটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার ও মেডিকেল কলেজে নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা। মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও ক্লাস–পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়ে বিক্ষোভ করছেন। আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এসব কর্মসূচি অব্যাহত আছে।