কুষ্টিয়ায় পলাতক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করে পুলিশে দিল জনতা
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল হোসেনকে (২৮) আটক করেছে ছাত্র-জনতা। মারধর করে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর রেলগেট থেকে তিনি আটক হন। রাসেল হোসেন উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের জাহেদপুর গ্রামের মতিনের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে মোটরসাইকেলযোগে রাসেলসহ দুজন শহরের মজমপুর রেলগেট এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্র-জনতা তাঁকে চিনে ফেলে। এ সময় মোটরসাইকেল থামিয়ে রাসেলকে মারধর করে মডেল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সাবেক সদস্য সদস্য (এমপি) ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জের আশীর্বাদপুষ্ট ছিলেন রাসেল। সেলিম আলতাফ এমপি থাকাকালে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, অবৈধ বালু উত্তোলনসহ নানা অভিযোগ ছিল রাসেলের বিরুদ্ধে। চলতি বছরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর মডেল থানায় হওয়া একটি নাশকতা মামলার আসামি ছিলেন রাসেল। তাঁকে কঠোর নজরদারিতে রেখেছিল পুলিশ। বিকেলে সোর্সের মাধ্যমে তাঁর অবস্থান জানতে পেরে পুলিশ তাঁকে মজমপুর গেট থেকে আটক করে। এ সময় উত্তেজিত জনতা দু–একটা কিলঘুষি মেরে থাকতে পারে। তাঁর বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁকে বুধবার সকালে আদালতে পাঠানো হবে।