দুই দিন বন্ধ থাকার পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ এল ২৯ মেট্রিক টন

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভারত থেকে চারটি ট্রাকে করে ২৯ দশমিক ৬৮ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়। আমদানি করা কাঁচা মরিচের ট্রাকগুলো হিলি স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড চত্বরে খালাসের জন্য রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

হিলি স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কাঁচা মরিচ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সততা বাণিজ্যালয় ১২ মেট্রিক টন, সম্পা ট্রেডার্স ৯ মেট্রিক টন ও বি কে ট্রেডার্স ৮ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে।

হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী প্রথম আলোকে জানান, বুধবার দুপুর পর্যন্ত কৃষি মন্ত্রণালয় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির জন্য ২৩টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে সাত হাজার মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) দিয়েছে। এলসির (ঋণপত্র) চালান অনুযায়ী এসব কাঁচা মরিচ আমদানিতে প্রতি মেট্রিক টনে ১৯৮ ডলার খরচ পড়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সম্পা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ইদ্রিস আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ দুপুরে ভারত থেকে আমার এলসিকৃত ৯ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত সব কাঁচা মরিচ ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় যাবে।

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি হলেও হিলি ও বিরামপুরের বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচের দামে তেমন প্রভাব পড়েনি। বাজারগুলোতে প্রকারভেদে কাঁচা মরিচ খুচরা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিরামপুরের কাটলা বাজারের সবজি বিক্রেতা ইস্তামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল থেকেই কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। গত দুই দিনের টানা বৃষ্টির কারণে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়েছে। কৃষকেরা নিজেরাই বাজারে এসে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন।’