গোবিন্দগঞ্জে ছোট ভাইয়ের কোদালের আঘাতে বড় ভাই নিহত
জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ছোট ভাই কোদাল দিয়ে আঘাত করে বড় ভাইকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরেক ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের তালুককানুপুর গ্রামে। নিহত ব্যক্তির নাম সামছুল হুদা (৩৮)। তিনি ওই গ্রামের হাবিজার রহমানের ছেলে। গত বুধবার আহত হওয়ার পর সামছুল হুদা বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার ভোররাতে তিনি মারা যান।
বুধবার ঘটনার পর থেকে সামছুল হুদার সৎভাই অভিযুক্ত আনোয়ারুল ইসলাম (২৬) পলাতক। তবে তাঁর স্ত্রীকে ওই দিনই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সামছুলের আরেক ভাই আহত শাহীন মিয়া (৩৫) বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত ব্যক্তির বাবা হাবিজার রহমানের দুই স্ত্রী। এর মধ্যে প্রথম স্ত্রীর ছেলে সামছুল হুদা ও শাহীন মিয়া। দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম। বেশ কিছুদিন ধরে চার শতক জমি নিয়ে বড় ভাই সামছুলের সঙ্গে ছোট ভাই আনোয়ারুলের বিরোধ চলছিল। এর জেরে বুধবার বিকেলে আনোয়ারুলের সঙ্গে সামছুল ও শাহীনের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে আনোয়ারুল তাঁর হাতে থাকা একটি কোদাল দিয়ে সামছুলের মাথায় ও শাহীনের শরীরে আঘাত করেন। এতে সামছুল গুরুতর আহত হন। পরে সামছুলকে বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া শাহীনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সামছুল আজ ভোররাতে মারা যান।
নিহত সামছুল হুদার স্ত্রী লাবনী বেগম বুধবার হামলার ঘটনার পর আনোয়ারুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী গোলাপি বেগমকে আসামি করে থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি আনোয়ারুল পলাতক। তবে তাঁর স্ত্রী গোলাপি বেগমকে বুধবারই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে বলে জানিয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুল আলম শাহ। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ দুপুর ১২টার দিকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় মরদেহ স্বজনেরা বাড়িতে নিয়ে গেছেন।