প্রথম আলো ট্রাস্টের কম্বল পেলেন রাজশাহী নগরের ২০০ শীতার্ত মানুষ
রাজশাহীতে ২০০ জন শীতার্তের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার নগরের দরগাপাড়া এলাকায় প্রথম আলো ট্রাস্টের সহযোগিতায় কম্বল বিতরণ করে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ।
বেলা ১১টার দিকে যখন কম্বল বিতরণ করা হচ্ছিল, তখন রাজশাহীতে সূর্যের তাপ সবে বাড়তে শুরু করেছে। এই সময় কম্বল নেন রাজশাহী কোর্ট স্টেশন থেকে আসা লক্ষ্মী রানী। নিজে নিজের বয়সটা বলতে না পারলেও আনন্দ প্রকাশ করতে ভুললেন না তিনি। লক্ষ্মী বলেন, ‘এখন যে দেখছ তাপমাত্রা, রাতের দিকে কিন্তু খুব কমে যায়। তখন শীতে খুব কষ্ট হয়। এই কম্বলে শরীর গরম করা যাবে।’
পায়ে ভর দিয়ে হাঁটতে পারেন না রবি বেওয়া (৬৬)। লাঠিতে ভর করে চলতে হয়। রিকশায় করে নগরের কাদিরগঞ্জ এলাকা থেকে সেখানে আসেন তিনি। কম্বল পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, এবার শীত পড়তেই কম্বল পেলেন। তাঁদের মতো অসহায় মানুষের কম্বল পেয়ে ভালো হলো। শীতে খুব আর কষ্ট হবে না। নগরের ষষ্ঠীতলা থেকে লাঠিতে ভর করে কম্বল নিতে আসেন জোছনা বেওয়া (৫৫)। তিনি কম্বল পেয়ে বলেন, ‘আল্লাহ ভালো করুক। কম্বলটা পেয়ে এ বয়সে শীতটা ভালো যাবে।’
এসব কম্বল বিতরণের আগে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের কর্মীরা নগরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে অসহায় মানুষদের তালিকা করে টোকেন দিয়েছেন। পরে আজ চলেছে বিতরণ কার্যক্রম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও স্থানীয় দৈনিক সোনালি সংবাদের সম্পাদক মো. লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. জামাত খান, উপদেষ্টা ও দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) রাজশাহী জেলার সহসভাপতি শ ম সাজু, নারীনেত্রী সেলিনা বেগম, আনজুমা আরা বেগম লিপি, ছাত্রনেতা জাহিদ হাসান, খালিদ বিন ওয়ালিদ, গোলাম রবি রনি প্রমুখ।
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাত খান বলেন, প্রথম আলো প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই এই অঞ্চলের মানুষকে বন্যা, বর্ষা, শীত, গরমে—সব মিলিয়েই সব ধরনের দুর্যোগ পরিস্থিতিতে বিপদে–আপদে ছুটে আসে। প্রথম আলোর সম্পাদকের কাছেও আবেদন করা হলে তিনি যথেষ্ট সহযোগিতা করেন। সেই সহযোগিতা অনুযায়ী তাঁরা এই জনসেবামূলক উদ্যোগগুলোর পাশে থাকেন।
শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে। হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল, হিসাব নম্বর: ২০৭ ২০০ ১১১৯৪ ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।
অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩-০৬৭৫৫৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। এ ছাড়া বিকাশ অ্যাপে ডোনেশন অপশনের মাধ্যমেও আপনার অনুদান পাঠাতে পারেন। এ পর্যন্ত বিকাশের মাধ্যমে অনুদান এসেছে ৬৪ হাজার ৮৩ টাকা। আর ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে এসেছে ৪৩ হাজার ২৬৮ টাকা।