ফেনীতে বাম জোটের মশালমিছিলে আওয়ামী লীগের হামলার অভিযোগ, আহত ৮
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে ফেনীতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের মশালমিছিলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাত আটটার দিকে শহরের ট্রাঙ্ক রোডের বাঁশপাড়া কোয়ার্টার ও প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্তত আটজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহত নেতা-কর্মীদের মধ্যে বাসদের কর্মী রাইহানে কুমুর, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সমন্বয়ক নয়ন পাশা, ছাত্রফ্রন্টের কর্মী কাজী সাগরের নাম জানা গেছে। হামলায় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও জেলা আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কোনো ধরনের রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়াই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একতরফা তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর প্রতিবাদে শহরে রাত আটটার দিকে শান্তিপূর্ণ মশালমিছিল বের করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি শহরের ট্রাঙ্ক রোডের বাঁশপাড়া ও প্রেসক্লাবের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অতর্কিতে হামলা করেন। এ সময় কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করা হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এ কে শহীদ খন্দকার বলেন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য হামলার অভিযোগ করা হচ্ছে। হামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জড়িত নন।
আহত বাসদ কর্মী রাইহানে কুমুর বলেন, তফসিল প্রত্যাখ্যান করে আগামীকাল বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস হরতাল দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। হরতালের সমর্থনে জোটের ব্যানারে মশালমিছিল বের করলে সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা পেছন থেকে অতর্কিতে হামলা করে তাঁদের বেধড়ক পেটান। হামলায় আহত ব্যক্তিদের ফেনী জেনারেল হাসপাতালসহ শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শহরে বাম গণতান্ত্রিক জোটের মশালমিছিলে হামলার ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। কিন্তু তখন কেউ ঘটনাস্থলে ছিল না। এ ঘটনায় কেউ থানায় কোনো অভিযোগও করেনি।