রাঙ্গুনিয়ায় অতর্কিত গুলিতে যুবক নিহতের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অতর্কিত গুলিতে যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ বুধবার সকালের দিকে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলাটি করেন নিহত মো. মোজাহেরের (২৮) ভাবি শাকি আকতার। মামলায় মো. কামাল নামের একজনকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি মো. নজরুলকে (৪০) আজ দুপুরে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিকেলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহবুব মিলকী এ তথ্য জানিয়ে বলেন, মামলার প্রধান আসামিসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের এজাহার মিয়া ফকিরবাড়ি এলাকার একটি দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় মোজাহেরকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি ছোড়া হয়। তাঁর পায়ে গুলি লাগলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এ সময় ১৫ থেকে ২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দোকানে ঢুকে লোকজনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন দোকানে বসে থাকা আরও পাঁচজন। ঘটনার পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে আহত সবাইকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১০টার দিকে মোজাহের মারা যান। অন্যরা চিকিৎসাধীন।

প্রধান আসামি কামালের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে ডজনখানেক মামলা আছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রধান আসামি মো. কামালের সন্ত্রাসী দলে দীর্ঘদিন ধরে ছিলেন স্থানীয় মো. দিদার। সম্প্রতি ওই দল থেকে তিনি বেরিয়ে এলে আক্রোশে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ওই দলের বাকি সদস্যরা। দিদারের সঙ্গে তাঁর ছোট ভাই নিহত মোজাহেরের চেহারার মিল থাকায় দিদার মনে করে গতকাল মোজাহেরের ওপর গুলি চালান তাঁরা। এ সময় আতঙ্ক ছড়াতে দোকানে বসে থাকা পাঁচজন দিনমজুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। সন্ত্রাসী কামালের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে ডজনখানেক মামলা আছে। এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে তাঁর বিশাল একটি দল আছে বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের পরও সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা বন্ধ করা যাচ্ছে না। পুলিশকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে বলে তিনি মনে করেন।