নেত্রকোনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুর রহমানকে প্রধান করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলাটি হয়। এ নিয়ে জেলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৩৮টি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে শামছুর রহমানকে অন্তত ১৪টি মামলায় প্রধান আসামি করা হয়।
গতকাল নাশকতা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে নতুন মামলাটি করেন সদর উপজেলার সিংহের বাংলা এলাকার বাসিন্দা মো. উজ্জ্বল মিয়া। এতে আসামি হিসেবে ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়কে।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, গত ২৭ জুলাই বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে আসামিরা নেত্রকোনা-মোহনগঞ্জ সড়কের সিংহের বাংলা রেলক্রসিং এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। সেই সঙ্গে কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই ঘটনার তিন মাস পর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৯৯ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়েছে। এতে ৩০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৭ আগস্ট থেকে গতকাল রাত পর্যন্ত জেলায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৩৮টি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১ হাজার ৭৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৩ হাজার ৯৫২ জন নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়।
এ ব্যাপারে জানার জন্য কল করে মামলার বাদী উজ্জ্বল মিয়ার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা শামছুর রহমানসহ অন্যদের মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের এসব নেতা আত্মগোপনে গেছেন। আবার কয়েকজন বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে নেত্রকোনার বিশেষ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।