আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে অপহরণের অভিযোগ

অপহরণ
প্রতীকী ছবি

বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা শাহাজাদী আলম ওরফে লিপির এক সমর্থক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অপহরণের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় শনিবার সারিয়াকান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ার হোসেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ভোটারের ১ শতাংশ সমর্থনকারীর একটি তালিকা নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছেন। সেখানে কামালপুর ইউনিয়নের সুতানারা গ্রামের বেলাল হোসেনের স্ত্রী নাজমা খাতুনের নাম আছে। শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজউদ্দিন ও কামালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে নৌকার কর্মীরা মোটরসাইকেলে করে শাহাজাদী আলমের সমর্থক নাজমা বেগম, তাঁর স্বামী বেলাল হোসেন ও তাঁদের তিন বছরের শিশুসন্তানকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। এর পর থেকেই নাজমা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা নিরুদ্দেশ। তাঁদের কোনো খোঁজ মিলছে না। তাঁদের মুঠোফোনও সঙ্গে নেই।

স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম বলেন, ‘শুক্রবার নৌকার প্রার্থীর লোকজন সোনাতলা উপজেলায় অস্ত্রশস্ত্রসহ আমার ওপর হামলা করে। এরপর রাতে আমার সমর্থক নাজমা ও তাঁর পরিবারকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছে। আমাকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য নানা চাপ দেওয়া হচ্ছে নৌকার প্রার্থীর পক্ষ থেকে। এখন মনোনয়নপত্র বাতিল করতে ষড়যন্ত্র করে সমর্থকদের অপহরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত অপহৃত কর্মী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার হয়নি।’

এ ব্যাপারে জানতে হেলাল উদ্দিন, রবিউল হাসান ও তাজউদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তাই এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, দলীয় কোনো কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থীর কর্মীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, অপরহণের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর অপহৃত নাজমা ও তাঁর পরিবারকে উদ্ধারে পুলিশের একাধিক দল চেষ্টা চালাচ্ছে।