পাবনায় ট্রেনে কাটা পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী দুই ভাই নিহত
এক মোটরসাইকেলে আরোহী ছিলেন তিনজন। দ্রুত রেললাইন পার হতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী দুই ভাই ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অপর এক আরোহীসহ দুজন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের চণ্ডিপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাবারিখোলা গ্রামের মাসুদ মুন্সির ছেলে জামিরুল ইসলাম (৩০) ও জালাল মুন্সির ছেলে মো. বাবু (২৫)। তাঁরা পরস্পর চাচাতো ভাই। আহত হয়েছেন আরেক আরোহী মো. মোমিন (২৭) এবং পথচারী আবদুল আওয়াল (৩৫)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জামিরুল ইসলাম ভুসির (গোখাদ্য) ব্যবসা করতেন। আজ তাঁর দোকানে হালখাতা ছিল। তিনি তাঁর চাচাতো ভাই বাবু ও প্রতিবেশী মোমিনকে সঙ্গে নিয়ে একই মোটরসাইকেলে করে সকালে কাশিনাথপুর বাজারে তাঁর দোকানে যাচ্ছিলেন। তাঁরা যখন চণ্ডিপুর গ্রামের রেললাইন পার হচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি তাঁদের মোটরসাইকেলে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই জামিরুল ও বাবু নিহত হন। মোটরসাইকেলের আরেক আরোহী মো. মোমিন ছিটকে রেললাইনের বাইরে পড়ে গুরুতর আহত হন। আর ছিটকে আসা মোটরসাইকেলের আঘাতে পথচারী আবদুল আওয়ালও আহত হন। আহত আবদুল আওয়াল চণ্ডিপুর গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে। আহত দুজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনাস্থল রেলওয়ে পুলিশের আওতাভুক্ত হওয়ায় বিষয়টি ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানা-পুলিশ দেখছে।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক ইসলাম আলী বলেন, গ্রামীণ রাস্তা হওয়ায় সেখানে কোনো রেলগেট নেই। এর ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় নিহত দুজনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।