নারায়ণগঞ্জে মহাসড়কে চারটি যানবাহন ভাঙচুর
বিএনপির ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে আজ বুধবার নারায়ণগঞ্জে সড়ক-মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ ও যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোথাও কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
আজ সকাল থেকে রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ ও আড়াইহাজার উপজেলায় আগুন জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। এ সময় আড়াইহাজারে একটি পণ্যবাহী ট্রাক, একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা এবং রূপগঞ্জে একটি কাভার্ড ভ্যান ভাঙচুর করেন অবরোধকারীরা।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল নয়টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বান্টি বাজার এলাকায় বিএনপির আন্তর্জাতিক–বিষয়ক সহসম্পাদক নজরুল ইসলামের ব্যানার নিয়ে তাঁর অনুসারীরা মিছিল বের করেন। এ সময় তাঁরা লাঠি হাতে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় সড়কে চলাচলকারী একটি কাভার্ড ভ্যান, একটি পণ্যবাহী ট্রাক ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা এলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা সড়ক ছেড়ে চলে যান। বর্তমানে বিজিবি ও পুলিশ ওই এলাকায় অবস্থান নিয়েছে।
সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম ছাত্রদল-যুবদলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের নয়াপুর এলাকায় মিছিল বের করেন। এ সময় তাঁরা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার আগেই তাঁরা সড়ক ছেড়ে চলে যান। পরে পুলিশ গিয়ে সড়ক থেকে টায়ার সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।
এর আগে সকাল সাতটার দিকে রূপগঞ্জ বিএনপির নেতা-কর্মীরা এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের পূর্বাচল লালমাটি এলাকায় শুকনা বাঁশ ও গাছপালায় আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় তাঁরা একটি ট্রাক ভাঙচুর করে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে নেতা-কর্মীরা সড়ক ছেড়ে চলে যান।
আজ নারায়ণগঞ্জের কোথাও কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা। তিনি জানান, জেলাজুড়ে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সড়কে অবস্থান করছেন। যারা সড়কে নাশকতা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।