কুমিল্লায় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুতের ঘটনায় ৩০০ মিটার রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুর রেলস্টেশনের অদূরে তেজের বাজার এলাকায় গত রোববার ‘বিজয় এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় অন্তত ৩০০ মিটার রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ৯টি বগির উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি উদ্ধার করতে আসা একটি ট্রেনের ইঞ্জিন গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসানপুর রেলস্টেশন এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। আজ ভোরে ওই ইঞ্জিন উদ্ধার করা হয়। রেলওয়ে সূত্র জানায়, হাসানপুর রেলস্টেশনের অদূরে শিহর চিওড়া এলাকায় দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের বগির উদ্ধারকাজে নিয়োজিত ট্রেনের ইঞ্জিন হাসানপুর রেলস্টেশন থেকে সানটিং করে চট্টগ্রামমুখী ডাউন লাইনে ওঠার সময় স্টেশনমাস্টার ভুল সিগনাল দিলে ইঞ্জিনটি লাইনচ্যুত হয়।
উদ্ধারকারী ট্রেনের লোকোমাস্টার (চালক) আবদুল জলিল বলেন, হাসানপুর রেলস্টেশনের মাস্টার মো. সোহাগ পয়েন্ট বানানোর সিগনাল দিলে ইঞ্জিনটি নিয়ে ডাউন লাইনে ওঠার পর লাইনচ্যুত হয়। পরে দেখা যায়, পয়েন্ট না বানানোয় ইঞ্জিনটি লাইনচ্যুত হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ইঞ্জিনটি সানটিং করার সময় পয়েন্ট ভুলের কারণে লাইনচ্যুত হয়। তবে এতে কোনো সমস্যা হয়নি। পরে ইঞ্জিনটি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, রোববার বেলা ১টা ৪৩ মিনিটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৮টি বগির মধ্যে ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই দিন রাতে চট্টগ্রাম ও আখাউড়া থেকে দুটি উদ্ধারকারী ট্রেন এনে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। শতাধিক শ্রমিক ১৫ ঘণ্টা কাজ করার পর ডাউন লাইন দিয়ে দুই দিকের ট্রেন চলাচল শুরু হয়। গতকাল রাতে আপ লাইনের কাজ শেষ হয়। ট্রেন লাইনচ্যুতের কারণে ৩০০ মিটার রেললাইন ও ৪টি কোচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখনো ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি।
নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলস্টেশন–সংলগ্ন ঢালুয়া ইউনিয়নের তেজের বাজার এলাকায় গত রোববার বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। লাইনচ্যুত হওয়ার পর বগিগুলো ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের উভয় লাইনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। এতে চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।