প্রচারণায় স্বতন্ত্র প্রার্থী, ফিরে এল ভোটের উত্তাপ
হাইকোর্টে রিট করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচ এম আখতারুল আলম। প্রার্থিতা ফিরে পেয়েই ভোটের মাঠে প্রচারে নেমে পড়েছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
আখতারুল আলম প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় আসনটিতে ভোটের উত্তাপ ফিরে আসার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আখতারুল আলমকে এই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামানের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছেন স্থানীয় নেতা–কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা।
আখতারুল আলম প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর নওগাঁর ছয়টি সংসদীয় আসনেই এখন দল মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। কোনো কোনো আসনে নিজ দলের একাধিক প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই করতে হবে নৌকার প্রার্থীকে।
গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পান আখতারুল আলম। গতকাল বুধবার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তাঁকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন তিনি।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় সমর্থন সূচক ১ শতাংশ ভোটারের সইয়ের গরমিলের কারণে ৪ ডিসেম্বর আখতারুল আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। প্রার্থিতা ফিরে পেতে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে গত ১৪ ডিসেম্বর শুনানি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রাখে নির্বাচন কমিশনের আপিল বোর্ড। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আখতারুল আলম ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। শুনানি নিয়ে গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট আখতারুল আলমের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করেন।
প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর সাবেক ছাত্রনেতা ও ধামইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এইচ এম আখতারুল আলম বলেন, ‘ষড়যন্ত্র করে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল। ষড়যন্ত্রের সব জাল ছিন্ন করে অবশেষে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। ২০০৮ সাল থেকেই আমি নওগাঁ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইছি। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে আমি এই এলাকার মানুষের পাশে রয়েছি। আমার প্রতি মানুষের যে উৎসাহ ও ভালোবাসা দেখছি, তাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’
আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহীদুজ্জামান সরকার ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র এইচ এম আখতারুল আলম ছাড়াও নওগাঁ-২ আসন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন। তবে বরাবরই এখানে জাতীয় পার্টি তেমন সুবিধা করতে পারেনি।
স্থানীয় নেতা–কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যাচাই-বাছাইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুল আলম, আইয়ুব হোসেন ও আমিনুল হকের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। এর পর থেকেই নওগাঁর ছয়টি আসনের মধ্যে শুধু নওগাঁ-২ আসনে আওয়ামী লীগের কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন না। স্বতন্ত্র প্রার্থী ও অন্য দলের শক্তিশালী প্রার্থী না থাকায় এই আসনে ভোটারদের মধ্যে তেমন কোনো উত্তাপ ও উৎসাহ ছিল না। তবে আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুল আলম প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর এলাকায় ভোটারদের মধ্যে ভোট নিয়ে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে।